

বোয়ালখালী প্রতিবেদক :
‘বাবলু চান তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে বসবাস করতে। তবে তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার অ্যানি (২৪) শহরে বসবাস করতে চান। বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইয়াছমিনকে থাপ্পড় মারেন বাবলু। এতে ইয়াছমিন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে বাবলু একজন গ্রাম্য চিকিৎসক ডেকে আনে। তখন চিকিৎসক নিশ্চিত করেন ইয়াছমিন মারা গেছেন। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্টের কৌশল হিসেবে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজনকে অবহিত করে বাবলু তার স্ত্রীর মরদেহ হিন্দু রীতিতে পুড়ে ফেলেন – এভাবেই চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরার আদালতে এসব কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নিহত এনির স্বামী বাবলু দে ওরফে তনু।
শনিবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান।


তিনি বলেন, ‘নিজের স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে গ্রেপ্তার বাবলু আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।’
এর আগে, গত ১৬ আগস্ট নিহত তরুণীর মা রোকসানা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনির স্বামীসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকারম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরীকেও আসামি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তরুণীর স্বামী বাবলু দে তনুকে (৩০) উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা বীণাপানি সংঘ পুজামণ্ডপ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— মোহাম্মদ মোকারম (৫৬), পবন দাশ (৫৫), রতন চৌধুরী, সাধন মহাজন (৬০), নিমাই দে (৪৫), শংকর দত্ত (৩৩), অরবিন্দ মহাজন (৫০), অরুন দাশ (৫০), দিলীপ দেব (৪৫), প্রদীপ সুত্রধর (৪০), রাম প্রসাদ (৩৮), রনি দে (৩০), অরুপ মহাজন (৪২), সমর দাশ (৫৫), রবীন্দ্র ধর (৬০), নিপুন সেন (৬০) ও ইউসুফ প্রকাশ ড্রেজার ইউসুফ (৩৫) ।