চট্টলা ডেস্ক :
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার পর মাস্ক ছাড়া কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আর সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজে প্রাত্যহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি আপাতত করা হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন শিক্ষার্থীরা আসবেন যত ধরনের গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর যা যা আমরা হালনাগাদ করেছি; সেগুলোর ভিত্তিতে শিক্ষক, ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই তা নিশ্চিত করবেন।
প্রতিদিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর তাপমাত্রা মাপা এবং তাদের অন্যান্য উপসর্গ আছে কিনা সেটি চেক করাতে হবে।’শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাসরুমের মধ্যে যে বিষয়গুলো মানা দরকার— সকলের মাস্ক আছে কিনা? মাস্ক পরিধান করা ছাড়া কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকবেন না।
অভিভাবকদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, তারা তাদের সন্তানদের মাস্কটি দিয়ে দেবেন। যেন শিক্ষার্থীরা মাস্কটি বাসা থেকেই পরে স্কুলে আসে। শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরে যাওয়া পর্যন্ত যেন মাস্ক পরে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অবশ্যই সকলের মাস্ক পরতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।
খুব ছোট বা কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা খেয়াল রাখবেন, যাতে কারও অসুবিধা হয় কিনা। কোনও শিক্ষার্থীর মাস্কের কারণে অসুবিধা হয় কিনা, সেই বিষয়গুলো শিক্ষকরা অবশ্যই দেখবেন।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাস্কের কারণে সমস্যা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী নিজেই বলতে পারবে। কিন্তু ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভের বাচ্চা নিজে নাও বলার মতো অবস্থায় থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা সেদিকে নজর রাখবেন। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ও গাইডলাইনসের মধ্যে এই বিষয়গুলো থাকবে।
’শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভেতরে আসা-যাওয়ার জন্য সবাই যেন সারিবদ্ধভাবে ঢুকে তা নিশ্চিত করা হবে। হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থা করা আছে। শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে। কারও উপসর্গ থাকলে না আসাও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাত্যহিক সমাবেশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের অ্যাসেম্বলি হবে না কোথাও। সকাল বেলা সমাবেশ হয়, সেই সমাবেশটি আপাতত হবে না যতক্ষণ না স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে না পারি। কিন্তু শরীরচর্চা বা খেলাধুলা স্বল্প পরিসরে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকদের তত্বাবধানে চালু রাখা হবে।’