৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অভিযান চালিয়ে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ এর সাথে জড়িত ৬ জন গ্রেফতার করেছে আকবরশাহ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২০মে) নগরীর আকবরশাহ থানার সিডিএ এলাকা, কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলো- ১৬ মামলার আসামি মিল্টন কুমার সাহা, ১৩ মামলার আসামি মেহেদী হাসান সোহেল, ৫ মামলার আসামি মামুনুর রশিদ এবং তাদের সহযোগী শাহজালাল, ইসমাইল, মহিন উদ্দিন সুমন।

শনিবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর।

তিনি জানান, মোটরসাইকেল চুরি, চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয়, চোরাই মোটরসাইকেল নিজ গ্যারেজে রেখে গাড়ির রং পরিবর্তন, তেলের ট্যাঙ্কি পরিবর্তন, ইঞ্জিন নম্বর ও চ্যাসিস নম্বর ঘষামাজা করে বিভিন্ন জনের নিকট বিক্রি ইত্যাদি অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের হেফাজত হতে মোট ৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঘটনার বিবরণে ওসি বলেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরবপুরের উত্তরপাড়ার হারাধনের ছেলে মিল্টন পুলিশের খাতায় দেশের শীর্ষ পর্যায়ে মোটরসাইকেল চোর। থাকেন চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গায়। পুলিশের হাতে ধরা পড়লে বদলে যায় নাম, সাথে পিতা-মাতার নামও। কখনো নিজের নাম বলেন মিলন্ট সরকার, কখনো মিল্টন সাহা আবার কখনো মো. সোহেল।

ওসি আরও বলেন, এই চোরের পিতা-মাতার নাম বদলে হয়ে যায় হারাধন সরকার, হারাধন সাহা এবং মো. জাকির খান। মা কল্পনা রানী সরকারের নাম বদলে হয়ে যায় কল্পনা সাহা কিংবা সুফিয়া খাতুন।

উদ্ধারের মুটিব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই চোরের সবচেয়ে বড় কৌশল হলো- মাথা টুপি, গায়ে পাঞ্জাবী পরে পাক্কা মুসল্লী সেজে মোটর সাইকেল চুরি করার ভিডিও পায় পুলিশ। সেই ভিডিওর সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পাওয়া গেছে এই বহুরূপী মিল্টনকে। হাত পাকানো চোর এই মিল্টন বলে জানান ওসি। পুলিশ একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে উদ্ধার করেছে ছয়টি মোটরসাইকেল।

তিনি বলেন, মোটর সাইকেল চুরির তদন্তে নেমে টিম আকবরশাহ থানা প্রথমে মিল্টনকে নগর ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয়টি মোটরসাইকেলসহ পাঁচ চোরকে আটক করেছে।

তাদের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি আরেক জনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, মিল্টন চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল।পুলিশ জানায়, চোরচক্র চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে মেহেদীর গ্যারাজে দেয়। মেহেদী চেসিস নাম্বার টেম্পারিং ও রঙ বদলিয়ে বিক্রি করে।

গ্যারাজের মালিক মেহেদী কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার জালালের ছেলে, শাহজালাল একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। ইসমাইল ও সুমন ফকির আহমদ ও মৃত আলী নেওয়াজের ছেলে। তাদের বাড়িও নাঙ্গলকোট। মামুন চৌদ্দগ্রাম থানার মৃত আব্দুর সবুরের ছেলে।

পুলিশ আরও জানায়, মোটরসাইকেল চুরি, চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত থাকায় আসামিদের বিরুদ্ধে নগরীর আকবরশাহ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।