এলপিজি’র দাম ১,৪২২/- কমিয়ে ১,১৭৮/- নির্ধারণ: কমলো ২৪৪/-

অর্থনীতি ডেস্ক:

ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজির লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১ হাজার ৪২২ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে দাম কমেছে ২৪৪ টাকা। যা রবিবার (২ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।

রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দাম ঘোষণা করেন বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। এছাড়া এপ্রিল মাসের জন্য অটোগ্যাসের দামপ্রতি লিটার ৫৪ দশমিক ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের বিইআরসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এপ্রিল মাসের জন্য সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৫৫৫ মার্কিন ডলার এবং ৫৪৫ মার্কিন ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৫৪৮.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে বেসরকারি এলপিজি’র ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি দাম হবে ৯৮ দশমিক ১৭ টাকা। সে অনুযায়ী ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি বোতলজাতকৃত এলপিজির দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এছাড়া ৫.৫, ১২.৫, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২২, ২৫, ৩০, ৩৩, ৩৫ এবং ৪৫ কেজি এলপিজির দাম ভোক্তাপর্যায়ে সমন্বয় করা হয়েছে।

রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত এলপিজি’র ভোক্তাপর্যায়ে দাম প্রতি কেজি ৯৪ দশমিক ৯৪ টাকা বা রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহকৃত এলপিজি’র মূল্য প্রতি লিটার ০ দশমিক ২১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ সময় জানানো হয়, সরকারি এলপিজির ইআরএল বা আরপিজিসিএল পর্যায়ের মূল্য অপরিবর্তিত থাকায় এবং সরকারি এলপিজি’র মূল্য সমন্বয়ের সঙ্গে সৌদি সিপির সংশ্লিষ্টতা না থাকায় এর মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

২০২১ সালের এপ্রিলে সর্বপ্রথম দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রি হওয়া এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিমাসেই নিয়ম করে দাম সমন্বয় চলছে।

তবে বিইআরসির ঘোষিত দর বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন।

এ বিষয়ে বিইআরসির বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।