নববর্ষের প্রথম দিনে পর্যটক শূন্য কক্সবাজার: হতাশ ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখ এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটিতেও পর্যটক নেই কক্সবাজারে। সমুদ্র সৈকতের দুয়েকটি পয়েন্টে কিছু সংখ্যক স্থানীয় পর্যটক দেখা গেলেও দূর-দূরান্ত থেকে আসেনি কোনও পর্যটক।

রমজানের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

তবে আসন্ন ঈদে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতে আসবেন বলে আশা করছেন তারা।

সমুদ্র সৈকতে ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলো জনশূন্য। পর্যটক না থাকায় অধিকাংশ হোটেল, মোটেল, কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। পর্যটন এলাকা কলাতলীর হোটেল, মোটেল ও কটেজগুলোতে বুকিংও নেই। সৈকতের বিচ বাইক, ভ্রাম্যমাণ হকার, দোকানদার ও ফটোগ্রাফাররা অনেকটা বেকার বসে আছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস। এ জন্য হয়তো এবারের পহেলা বৈশাখে পর্যটক আসেনি। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো অনেকটা ফাঁকা। তাই আমাদের ওপর চাপও কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সমুদ্র সৈকত ও হোটেল, রেস্তোরাঁ নয়। ফাঁকা রয়েছে ব্যস্ততম কলাতলী ও বিচ সড়কগুলোও। তাই আসন্ন ঈদে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। এবার কিন্তু পর্যটকশূন্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে সব ধরনের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে বুকিংশূন্য রয়েছে। তবে ঈদে বেশ পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন হয়তো কয়েকদিন ব্যবসা ভালো হবে। সে আশা নিয়ে রমজানে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

কক্সবাজার কলাতলী হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখিম খান বলেন, ‘রমজান মাস হওয়ায় পহেলা বৈশাখের তিন দিনের সরকারি ছুটিতে পর্যটক না আসায় হতাশ হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। আসন্ন পর্যটন মৌসুমে পর্যটক আসার সম্ভাবনা দেখছেন তারা। তাই ঈদে পর্যটক বরণের জন্য নানাভাবে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেক হোটেল মোটেল মালিকেরা।’