রুবেল দাশঃ ভোজ্যতেলের দাম ছুটছে ‘লাগামহীন’ পাগলা ঘোড়ার মত। বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে দাম বাড়াতে হচ্ছে বলে আমদানিকারক ও মিল মালিকদের দাবি। এছাড়া তেলের পাশাপাশি চাল ডালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও উর্ধ্বমুখী।
মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, গত ১০ দিনে সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১২৪ টাকায় অবস্থান করছে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। খুচরা বাজারে এ তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। খুচরা বাজারে পাম তেলও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১৫ টাকায়। পাইকারি বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি মণ খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫৮৫ থেকে ৩ হাজার ৫৯০ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ৪ হাজার ৪৫০ থেকে ৪ হাজার ৪৬০ টাকায়। বিক্রেতাদের একটিই যুক্তি, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে দেশেও ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোলা তেলের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বসুন্ধরা, তীর, পুষ্টি, ফ্রেশ, রূপচাঁদা ব্রান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যও। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এপ্রিলের আগে তেলের দাম কমবে না বলে জানান পুষ্টি সয়াবিন তেলের এ বিক্রয় কর্মকর্তা।
তেলের পাশাপাশি চালের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি। খাতুনগঞ্জে বর্তমানে বেতি চালের ৫০ কেজি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়, মিনিকেট ২ হাজার ৭০০ টাকা, জিরাশাইল ২ হাজার ৯৫০ টাকা এবং কাটারীভোগ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়।
নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে সরকারকে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানান তারা।