নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের জুনায়েদ হাসান শিবলু নামের এক সাংবাদিকের সাইবার ট্রাইব্যুনালে করা মামলা তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে সিআইডি কে।
বৃহস্পতিবার (১৫জুন) দুপুরে সাইবার ট্রাইবুনাল চট্টগ্রাম আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হলে আদালত তদন্তের জন্য সিআইডি কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা থেকে প্রকাশিত প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার চট্টগ্রামের প্রতিনিধি হলো আবুল হাসনাত মিনহাজ(২১)। তাকে প্রধান অভিযুক্ত করে পত্রিকাটির চট্টগ্রাম ব্যুরো মো: বেলাল (৩৫) ও পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক খাইরুল আলম রফিক(৫০) সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার ট্রাইবুনাল চট্টগ্রামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী দৈনিক সরেজমিন বার্তা’র বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রামের স্থানীয় আইপি টিভি অনলাইনের প্রতিনিধি জুনায়েদ হাসান শিবলু (৩০)।
এ বিষয়ে মামলার বাদী জানান, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ভুল তথ্য দিয়ে ওই পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় আমার নামে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও কঠিন ষড়যন্ত্র। যারা এ সংবাদ করেছেন বা ওখানে যা যা লেখা হয়েছে প্রত্যেকটি বিষয়ে আদালতের কাছে প্রমাণ হাজির করতে হবে।
এছাড়াও ওই মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ঢাকা মিডিয়া টিভি২৪ এর চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন মনির (২৩), বাকলিয়া এলাকার মোহাম্মদ আরাফাত (২২) ও বাকলিয়া নোমান কলেজের কথিত ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আজমীর শাহ(২৮)।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ নং অভিযুক্ত মিনহাজের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিউজ করা হলে অভিযুক্ত মিনহাজ অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে নিউজ না করার প্রস্তাব দেয়। অনৈতিক ঐ প্রস্তাবে রাজি না হলে বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ করার হুমকি দিতে থাকে সে এবং অন্যরা। বিগত ১২ জুন ময়মনসিংহ জেলা থেকে প্রকাশিত প্রতিদিনের কাগজ নামের একটি পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে অভিযুক্ত মিনহাজ এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ জানিয়েছেন, পেশায় সাংবাদিক জুনায়েদ হাসান বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা অনুযায়ী ৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনাল চট্টগ্রামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং (৩২৯/২৩), চট্টগ্রাম। বিজ্ঞ আদালত বাদির জবানবন্দি শুনে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি চট্টগ্রামকে দ্রুত তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, মামলায় অভিযুক্ত ১ ও ৬ নং আসামি কিশোর গ্যাং ও অপহরণ মামলার তালিকাভুক্ত আসামি উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সনামধন্য একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন অপরাধের বিষয় নিয়ে।