চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে ২টি হাসপাতাল ও ২টি ডায়াগনস্টিক বন্ধের নির্দেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে প্রথম দিনেই নগরে দুটি হাসপাতাল ও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৮ মে) হাসপাতালের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়া, পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকা, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সেবার মূল্য তালিকা না থাকার অভিযোগে ওই চারটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্দেশ দেওয়া ৪ টির মধ্যে ২টি হাসপাতাল ও ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।

২টি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— চট্টশ্বেরী রোডের চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হাসাপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, পাঁচলাইশের এস.টি.এস হাসপাতাল। এছাড়া ডবলমুরিং থানার ডিটি রোডেস্থ পপুলার মেডিকেল সেন্টার ক্লিনিক্যাল ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দামপাড়ার নিরুপনী প্যাথলজী ল্যাবরেটরি ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।

এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চট্টশ্বেরী রোডের চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের লাইসেন্সসহ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পাঁচলাইশের এস.টি.এস হাসপাতালে দালাল চক্রের আনাগোনা দেখা গেছে এবং হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ও দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে হাসপাতালে আগত ও চিকিৎসারত রোগীদের অন্যত্র চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ কারণে হাসপাতাল ২টিকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন এই সিভিল সার্জন।

তিনি আরও জানান, ডিটি রোডের পপুলার মেডিকেল সেন্টারে ব্লাড কালেকশানের জন্য কোনো পাস করা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। এক্সরে রুম ও প্যাথলিজ রুমও মানসম্মত নয়। এক্সরে রুমের দেওয়ালের ঘনত্ব ৫ ইঞ্চি। ছাদে লিড শিট লাগানো নেই। এছাড়া ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স, ভ্যাট ট্যাক্সের কাগজপত্রও ছিল না। একইভাবে নগরের দামপাড়া এলাকার নিরুপনী প্যাথলজী ল্যাবরেটরির অনলাইনে আবেদন না পাওয়া, পরিবেশগত ছাড়পত্র, ভ্যাট, টিন সার্টিফিকেট না থাকাসহ অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পাওয়া গেছে। এমনকি রিসেপশনের সামনে রোগী বসিয়ে ব্লাড কালেকশন করতে দেখা গেছে। যে কারণে এটিকেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেন, ‘৬টি ল্যাব ও হাসপাতালে অভিযানে গিয়ে আমরা বিভিন্ন অনিয়ম দেখেছি। চট্টগ্রামে ‘অনিয়মের সাগর’ দেখেছেন আমিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এজন্য নিবন্ধনের কাগজপত্র না থাকা, পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকাসহ অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা দেওয়ায় চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন যদি নির্দেশনা না মানে তবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, আরও ২টি হাসপাতাল যথাক্রমে ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল ও পলি হাসপিটালে সেবার মূল্য প্রদর্শিত করা হয়নি এবং ২০২২ এর অনলাইনের আবেদন পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালের সব কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেছে। সেজন্য, ওই হাসপাতালের কতৃপক্ষকে সেবার মূল্য প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।