নগর প্রতিবেদক :
টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম আদালত। এসময় প্রদীপ আদালতে উপস্থিত থাকলেও চুমকি পলাতক ছিলেন।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, গত ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাতে সাবেক ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তর ও ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রের শুনানি শেষে আদালত তা গ্রহণ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
একই সময়ে প্রদীপের জামিন আবেদনও নাকচ করেন আদালত এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
একই আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ জুন প্রদীপ কুমার দাশ ও তার চুমকীর অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে নিয়ে দেখভাল করতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।