চট্টলা ডেস্ক :
কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশ সদস্য যৌন হয়রানির শিকার হয় কি না, এ নিয়ে জরিপ চালায় পুলিশ সদর দপ্তর। এতে অংশ নেন ৪৪১ জন পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে ৩৪৬ জন এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ১৩৮ জন স্বীকার করেছেন, হয়রানির শিকার হন নারী পুলিশেরা। ৪০ ভাগ নারী পুলিশ সদস্য পুরুষ সহকর্মীদের যৌন হয়রানির শিকার হোন বলে এক জরিপে দেখা গেছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে সবার বিচার হবে।
সম্প্রতি পিবিআইয়ের এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন পুলিশের এক নারী সদস্য। এরকম বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। পরিস্থিতি বুঝতে চালায় জরিপ। ৪০ শতাংশ সদস্য স্বীকার করেছে, নারী পুলিশ সদস্যদের হয়রানি করেন পুরুষ সহকর্মীরা।
এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশ সদরদপ্তর, যা পুলিশ বাহিনীর ইমেজ নষ্ট নিয়ে শংকিত হয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই বাহিনীতে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা রেয়েছে, এদের কারণেই আজ পুরো বাহিনীর বদনাম।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, শুধু যৌন হয়রানি নয়, অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দিলে বদলি ও বিভাগীয় মামলার হুমকি, অশ্লীল গালিগালাজ ও পোশাক নিয়েও বাজে মন্তব্য করেন অনেকে।
১৯৭৪ সালে প্রথম পুলিশে যোগ দেন ১৩ জন নারী কনস্টেবল ও উপ-পরিদর্শক। এখন এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজারে।
কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশ সদস্য যৌন হয়রানির শিকার হয় কি না, এ নিয়ে জরিপ চালায় পুলিশ সদর দপ্তর। এতে অংশ নেন ৪৪১ জন পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে ৩৪৬ জন এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ১৩৮ জন স্বীকার করেছেন, হয়রানির শিকার হন নারী পুলিশেরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।