পাহাড়তলীর ব্যবসায়ী ফরিদ হত্যায় জড়িত ২ আসামিকে কুমিল্লায় ধরেছে র‍্যাব

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে ব্যবসায়ী মোঃ ফরিদকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব -৭।

বুধবার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও চান্দিনা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন এলিট কাহিনীটি।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন— কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের পশ্চিম ডেকরার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. আলী আজগর লেদা (২৫) ও পাহাড়তলীর মাইটিলা পাড়ার মো. আব্দুল আলী শেখের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৩০)।

র‍্যাবের সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার সিভয়েসকে বলেন, গত ৭ মে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ফরিদকে হত্যার পর থেকে জড়িত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ১১ মে কুমিল্লা এলাকা থেকে পলাতক আসামিদের আটক করা হয়।

তাছাড়াও এর আগে দুই নম্বর আসামি মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদক মামলা রয়েছে। আটকের পর আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঘটনার বিবরণে র‍্যাব জানায়, পাহাড়তলী কার ওয়াশের ব্যবসার পাশাপাশি রেলওয়ের জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ভাড়ার ব্যবসাও ছিলো ফরিদের। অনেকদিন ধরে দোকান ভাড়ার টাকা আদায় নিয়ে ফরিদের সঙ্গে স্থানীয় আলাউদ্দিন আলো এবং দিদারুল আলম ওরফে টেডি আলমের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এসময় বিরোধের জের ধরে আলাউদ্দিন ও টেডি আলম চাঁদা দাবি করতে থাকে। ফরিদ এই প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা প্রাণে হত্যাসহ যে কোন ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়।

পরে গত ৭ মে নগরের পাহাড়তলীর একটি চায়ের দোকানে ফরিদ চা খাওয়া অবস্থায় জানতে পারে; তাকে মারার জন্য ১০ থেকে ১২ জন চায়ের দোকানের দিকে আসছে। এই অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করলে পাহাড়তলী বাজার রেল ষ্টেশনের প্রবেশ পথে তাকে ঘেরাও করে ঘাতকরা ফরিদকে গুরুতরভাবে জখম করে।

পরর্বতীতে ফরিদকে আহতাবস্থায় তার স্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৮ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।