আইন-আদালত ডেস্ক :
পেনশনের ফাইল আটকে রেখে ঘুষ গ্রহণের মামলায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) দুই কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফেনীর সোনাগাজীর মৃত মো. আকবর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও চাঁদপুর চরকি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির।
গিয়াস বিটিসিএল চট্টগ্রাম কার্যালয়ের প্রধান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার ও হুমায়ুন টেলিফোন অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, আদালত সূত্রে জানা যায়, বিটিসিএলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে অবসরে যাওয়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেম ভুঁইয়ার পেনশনের ফাইল আটকে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ পেয়ে ফাঁদ পাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সেই ফাঁদে ধরা পড়েন গিয়াস ও হুমায়ুন। আটকের দু’দিন পর দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এর তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মানিকলাল দাশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গিয়াস ও হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই সময়ই বিটিসিএল থেকে তাদের বরখাস্তও করা হয়েছিল।
মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয় ২০১৭ সালের ২১ মে। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় ২০১৭ সালের ২৪ মে। মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে আসে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই এবং পরদিন অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষ্য দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।
তিনি বলেন, পেনশনের টাকা আটকে ঘুষ চাওয়ার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিটিসিএলের প্রধান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার মো. গিয়াস উদ্দীনকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং টেলিফোন অপারেটর মো. হুমায়ুন কবিরকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর গিয়াসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হুমায়ুনের দণ্ডের মেয়াদ এক বছর হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ (২) ধারা অনুযায়ী আপিলের শর্তে আসামির আবেদনের ভিত্তিতে তাকে ৩০ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।