আজ, শনিবার | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ । ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬
পোর্ট কানেকটিং রোড প্রকল্প কাজ রেখে পালানো ঠিকাদারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
প্রকাশ : ১০ মে, ২০২২ ৫:০৯ : অপরাহ্ণ |
বিভাগ : আইন-আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের হালিশহর পোর্ট কানেকটিং রোড প্রকল্পের কাজ রেখে পালিয়ে যাওয়া ঠিকাদারসহ ইউসিবিএল ব্যাংকের ৮ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বাদি হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
তিনি জানিয়েছেন, ‘দুদক কমিশনের নির্দেশে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় পৃথকভাবে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন— রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের প্রোপাইটর মোহাম্মদ আলম, আমমোক্তার জাকির এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. জাকির হোসেন, ইউসিবিএল ব্যাংক কুমিল্লা শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মো. সারোয়ার আলম, এসিসটেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অপারেশন ম্যানেজার মো. আনিসুজ্জামান, ব্যাংক কর্মকর্তা ছাইফুল আলম মজুমদার, মকামে মাহমুদুল ইসলাম আরেফিন ও দেবু বোশ।
দ্বিতীয় মামলায় আলোচ্য সাত আসামি ছাড়াও ছালেহ আহমদ নামে আরেক সুবিধাভোগিকে আসামি করা হয়।
মামলা ২টিতে তাদের বিরুদ্ধে কাজ রেখে পালিয়ে যাওয়ায় ৭ কোটি ৫৮ হাজার ৩৪৭ টাকার ক্ষতি এবং ইউসিবিএল ব্যাংকের ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের (সুদাসুলে ৪৬ কোটি ৩২ লাখ) অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পরস্পর যোগসাজশে তাদের উপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে নিজেরা লাভবান হওয়ার ও অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ‘ইমপ্রুভমেন্ট অফ পোর্ট কানেকটিং রোড বাই বিসি ফ্রম অলংকার টু নিমতলা’ প্যাকেজ নম্বর আইসিজিপি ৮২ সিএইচ-০০২ কাজের বা প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়ে নিজে কাজ না করে অবৈধভাবে আমমোক্তার নিয়োগপূর্বক কাজের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অপরকে প্রদান করে কাজটি সম্পূর্ণ না করে গণভোগান্তি সৃষ্টিপূর্বক সরকারি ৪ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৪২৯ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করে এবং মো. জাকির হোসেন কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার মোহাম্মদ আলম কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে আমমোক্তার নিযুক্ত হয়ে মিথ্যাভাবে নিজেকে রানা বিল্ডার্স এন্ড সালেহ আহম্মেদ (জেভি) এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে স্বাক্ষর প্রদান করে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় রানা বিল্ডার্স এন্ড সালেহ আহমেদ নামে চলতি হিসাব নম্বর এবং মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজ নামে লো হিসাব নম্বর খুলে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে উত্তোলনপূর্বক উক্ত শাখা থেকে ২০ কোটি টাকা যা সুদাসুলে ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
দ্বিতীয় মামলায় একই কায়দায় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৮ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন করে এবং জাকির হোসেন কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার মোহাম্মদ আলম কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে আমমোক্তার নিযুক্ত হয়ে মিথ্যাভাবে নিজেকে রানা বিল্ডার্স ও সালেহ আমদ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে স্বাক্ষর প্রদান করে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে ঋণের ২০ কোটি টাকা যাহা সুদাসুলে ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।