নিজস্ব প্রতিবেদক:
কখনো সচিব, কখনো সাংবাদিক, আবার কখনো সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে দিতেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সরকারী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঠকিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, ও সাধারণ মানুষকে। প্রতারণা মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা।
গত (১৫ মে) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীদের করা অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক চৌধুরী ওরফে আলম (৪৭) ফেনী জেলার পরশুরাম থানা এলাকার কলাপাড়া এছাক চৌধুরীর ছেলে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী গ্রেপ্তারের পর র্যাব কর্মকর্তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে ভুয়া সচিব ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া কর্মকর্তা নুরুল আবছার বুধবার জানান, সচিব পরিচয় দিয়ে শেরেবাংলা থানা এলাকায় মোজাম্মেলের নানান প্রতারণার অভিযোগ পায় র্যাব। গত ৯ মে গ্রেপ্তারের জন্য তার ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। কিন্তু অভিযান পরিচালনার আগে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।
এ সময় বাসা থেকে তার ব্যবহৃত বিলাসবহুল পাজেরো জিপসহ দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়। পাজেরো জিপ থেকে মন্ত্রণালয়ের স্টিকার, ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড, দুটি আইডি কার্ড উদ্ধার করে র্যাব। দুটি কার্ডের মধ্যে একটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যু করা সচিবালয়ে ঢোকার প্রবেশপত্র এবং অপরটি ‘দৈনিক নয়াদেশ’ নামে পত্রিকার পরিচয়পত্র।
মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে ঢাকা শেরেবাংলা নগর এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণা অভিযোগে দুটি মামলার তথ্য পেয়েছে র্যাব। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।