চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-ট্রাফিক) এন.এম নাসিরুদ্দিন বলেছেন, নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এর জন্য শুধু পরিবহন চালক-শ্রমিক এককভাবে দায়ী নয়, জনসচেতনতাও জরুরী।
জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সড়কে লাইসেন্স, ডকুমেন্ট বা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা, সড়ক দখল করে গাড়ি পাকিং, অযথা হর্ণ বাজানো, একটানা ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে গাড়ি টালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
শনিবার (২০ মে) সকালে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে আয়োজিত সচেতনতা মূলক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ডিসি-ট্রাফিক বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পরিবহন চালক-শ্রমিকসহ প্রত্যেককে আন্তরিক হতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, ওভার টেকিং, ওভার লোড, ওভার স্পিড ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো যাবে না।
সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিক সাইন মেনে গাড়ী চালালে সড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। যাত্রী, চালক ও পথচারীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে গাড়ি চালাতে হবে।
চট্টগ্রাম-শুভপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ও সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মো. আকরামুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআই (সদরঘাট) জহুরুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-শুভপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার, মহানগর শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ প্রমুখ।