সাউদার্ন হাসপাতালের ৩ ডাক্তার বিরুদ্ধে মামলা: পেট ব্যথার অস্ত্র পাচারে নারীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পপি আক্তার নামের এক রোগীর পেট ব্যথায় অস্ত্রোপচারে মৃত্যুর ঘটনায় সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্বামী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৫ এর বিচারক মো. সাদ্দাম হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

মামলায় বিবাদীরা হলেন- নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. মো. ইমরান হোসেন (৪৫), সহকারী অধ্যাপক ডা. আদনান বাচা (৪০) ও অধ্যক্ষ ডা. জয়ব্রত দাশ (৫৫)।

নিহত পপির স্বামী মীর আবদুল পিরু নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার বাসিন্দা।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হেলাল জানিয়েছেন, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় পপি আক্তারের মৃত্যু হয়েছে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত সোমবার মামলা আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধানকে।

তিনি জানান, ওই কমিটির অপর দুসদস্য থাকবেন একই হাসপাতালের মেডিসিন ও অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের দুসহকারী অধ্যাপক। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পপি আক্তার গত ২২ অক্টোবর সকালে পেটের ব্যথা নিয়ে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এসময় চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শনাক্ত করেন এবং দ্রুত অপারেশন করতে হবে বলে স্বজনদের জানান।

২৬ অক্টোবর সকাল ৯টায় রোগীর অপারেশনের পর হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আনা হয়। এরপর রোগী সারাদিন পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন এবং রক্তপাত শুরু হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে দুব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। ওইদিন রাত ১১টার দিকে পুনরায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়। এরপর রোগীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।

অভিযোগে আরো জানা যায়, পরদিন ২৭ অক্টোবর সকালে ডিউটি ডাক্তার স্বজনদের জানান, রোগীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরে রোগীকে পাশের মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ অক্টোবর সকাল ৬টা ৫৪ মিনিটে পপি মারা যান।