সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের ২টি মামলা চট্টগ্রামে

আইন আদালত ডেস্ক:

চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশের (সিএমপি) এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে ২টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৭মে) মামলা ২টি করেন দুদকের সমন্বিত কার্যালয়-১, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. এনামুল হক।

চট্টগ্রাম দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যমে। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত উৎস থেকে অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভোগদখল করার প্রমাণ মেলায় দুদক ২টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে তাদের বিরুদ্ধে। এখন দুদক মামলাটি অধিকতর তদন্ত করবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এই মামলার বিবাদিরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এবিএম শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী। এবিএম শাহাদাত হোসেন সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এবং নগরীর অলংকার পুলিশ ট্রাফিক বক্সে সিএমপির পেট্রোল ইন্সপেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মামলার নথি অনুযায়ী, এই দম্পতি এখন বন্দর নগরীর হালিশহর থানাধীন চুনা ফ্যাক্টরি মোড় এলাকায় তাদের নিজস্ব দালান বাড়িতে থাকেন।

দুদকের মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

এছাড়া তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ১ হাজার ৮০৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করা এবং ৭৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ টাকা মূল্যের সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

দুদকের মামলায় তদন্তকালে ঘটনায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমলে নেওয়া হবে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার সম্পদ বিবরণীতে তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু ব্যবসার সম্পর্কিত কোনো ট্রেড লাইসেন্স বা নথি দেখাতে পারেন নি তিনি এবং ব্যর্থ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার নথিতে।