নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে অধিগ্রহণকৃত ভূমির উপযুক্ত মূল্য দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচলাইশ থানার কুলগাঁও মৌজায় “চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ” প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্ত অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ক্ষতিপূরণ দেয়া প্রকল্পের নাম “চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ” প্রকল্প। যার ক্ষতিপূরণের পরিমাণ: ১০৩,১৪৩৩,৭৪৬.৫৯ (একশত তিন কোটি চৌদ্দ লক্ষ তেত্রিশ হাজার সাতশত ছেচল্লিশ টাকা উনষাট পয়সা মাত্র) টাকা।
তিনি আরো বলেন, চলমান ক্ষতিপূরণ গ্রহীতার ২৮ জনকে এ চেক প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ক্ষতিপূরণ তাঁদের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোপূর্বেও জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম কর্তৃক ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একই ধারাবাহিকতায় মাঠ পর্যায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাঁচলাইশ থানার কুলগাঁও মৌজায় “চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ” প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্ত অধিগ্রহণকৃত ৭.৯৭০০ একর ভূমির ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মাঝে এল.এ চেক বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, সর্বমোট ৩৭ (সাঁইত্রিশ) জনকে প্রায় ১৪ (চৌদ্দ) কোটি টাকার চেক বিতরণ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। তৎমধ্যে উপস্থিত ২৮ জনের মাঝে প্রায় ০৯ (নয়) কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়। অনুপস্থিত ব্যক্তিগণকে পরবর্তীতে ভূমি অধিগ্রহণ শাখা হতে বাকী ক্ষতিপূরণের চেক সমূহ সংগ্রহ করার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সুখকর বিষয় হচ্ছে উপস্থিত লোকজন তাদের ক্ষতিপূরণের চেক নিজের ঘরের পাশে হাতে পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এদিকে, গ্রাহকেরা দালাল মুক্ত ও হয়রানি মুক্ত সেবা পেয়ে অত্যন্ত খুশি।
কতিপয় দালাল ও অসাধু ব্যক্তির অপপ্রচারে প্ররোচিত হয়ে, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ ক্ষতিপূরণে আবেদনে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়ায়, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম তাঁদের প্রতি আশ্বস্থতার বার্তা দেন যে, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ সরাসরি এল. এ. শাখায় আবেদন করলে তাঁরাও দ্রুততম সময়ে ক্ষতিপূরণ পাবেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সেবা প্রদান প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের কোন স্থান নেই। তাদেরকে সমূলে উৎপাটন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদেরকে সরাসরি সেবা প্রদান করা হবে।
এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক উপস্থিত জনসাধারণ-কে জানান যে, কোন দালাল বা কোন মধ্যস্বত্ব ভোগীর নিকট না গিয়ে সরাসরি এল. এ. শাখায় আবেদন করে নিজের ক্ষতিপূরণের টাকা নিজে উত্তোলন করেন। যে কোন সমস্যা সরাসরি তাঁর নিকট/ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ), চট্টগ্রাম/ ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার নিকট যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।
মালেয়শিয়া প্রবাসী মো: নাজিম উদ্দিন জানান যে, তিনি সরাসরি এল এ শাখায় আবেদন করে এবং কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া অতি দ্রুত ক্ষতিপূরণের চেক হাতে পেয়েছেন। এতে তিনি জেলা প্রশাসক তথা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করেন। এ সময়ে ডোবা, নাল ও চালা শ্রেণির জমির ক্ষতিপূরণ সহ অবকাঠামো ও ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
চেক বিতরণ কালে মোঃ আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ), চট্টগ্রাম ও এহসান মুরাদ, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।