কাতারে এবারের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে নানা বিষয়ে যেমন কড়াকড়ি থাকছে, তেমনই কিছু বিষয়ে কড়াকড়ি শিথিলও করছে আয়োজকেরা। করোনা মহামারিতে খেলোয়াড় ও আয়োজকদের পাশাপাশি ভুগতে হয়েছে দর্শকদেরও। অনেক দিন তো মাঠে যাওয়ার সুযোগই পাননি তাঁরা। যখন থেকে আবারও গ্যালারিতে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে, বেশিরভাগ জায়গাতেই সাথে নিয়ে যেতে হয়েছে টিকার সনদ। এসব বিষয় মাথায় রেখে কাতার বিশ্বকাপে অন্তত সে ঝামেলা কিছুটা হলেও কম পোহাবেন সাধারণ দর্শকেরা। বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া দর্শকদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেনি আয়োজকেরা।
এরইমধ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটি। তবে খেলোয়াড় আর ম্যাচ অফিশিয়ালদের জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকাটা বাধ্যতামূলক থাকছেই।
করোনা মহামারির পর এবারই প্রথম বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ২৯ দিনের ফুটবল মহাযজ্ঞ উপভোগ করতে সারা বিশ্ব থেকে কাতারে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ যাবে বলে ধারণা করছে আয়োজক কমিটি। কাতারে কোনো পরীক্ষার সম্মুখীন না হতে হলেও ছয় বা এর বেশি বয়সী সব দর্শককে কাতারের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে করোনা নেগেটিভ হওয়ার সনদ দেখাতে হবে। অবশ্য লক্ষণ দেখা দিলে কাতারেও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে দর্শকদের, জানিয়েছে আয়োজকেরা।
বিশ্বকাপে টিকা সনদ জরুরি না হলেও ১৮ বা এর বেশি বয়সী দর্শকদের এহতেরাজ নামে একটি ‘ট্রেসিং ফোন অ্যাপ্লিকেশন’ ডাউনলোড করে নিতে হবে। বদ্ধ জায়গার জনসমাগমে ঢুকতে এটি দেখাতে হবে দর্শকদের। এ ছাড়া গণপরিবহনে দর্শকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। দেশটিতে থাকাকালে কেউ করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হলে সরকারের নীতি অনুযায়ী তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে।
এই টুর্নামেন্টের প্রথম দুই সপ্তাহ নিয়ে বেশি ভাবছে কাতার। কারণ, এ সময়ে প্রতিদিন হবে চারটি করে ম্যাচ। জনসমাগমটাও তুলনামূলক বেশি হবে তখনই।