না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ফুটবল কিংবদন্তি ঈশ্বর পেলে

স্পোর্টস ডেস্ক:

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন। ব্রাজিলের পক্ষে গোল-দেয়া কিশোর হিসাবে সাড়া বিশ্বে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিলো।

জাতীয় দলকে অভূতপূর্ব তিনটি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়ে দিয়েছিলেন পেলে।নভেম্বরের শেষের দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকেরা ডিসেম্বরে জানিয়েছিলেন কিডনি এবং হৃৎপিণ্ডের সমস্যার সাথে সাথে পেলের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে যা অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, তার কোলন থেকে একটি টিউমার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল, যেখানে পেলের চিকিৎসা করা হচ্ছিল, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে একাধিক অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ার কারণে পেলের মৃত্যু হয়।

ইনস্টাগ্রামে মেয়ে কেলি নাসিমেন্টো লিখেছেন, “আমরা আজ যা কিছু তা তোমার জন্য, তোমাকে ধন্যবাদ। তোমাকে আমরা অনেক ভালোবাসি। শান্তিতে বিশ্রাম নাও।”

বিশ্বজুড়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত পেলে ব্রাজিলের পক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে এবং ক্লাব গেমস ও তাঁর দল স্যান্টোসের সাথে আন্তর্জাতিক সফরে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন।

এরপর এই ফুটবল খেলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে চারপাশে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছিলেন পেলে, নিউ ইয়র্ক কসমসের সাথে কাজ করেছিলেন।

রিও ডি জেনেইরো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ট্রেস কোরাকোয়েসে ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন পেলে যার আসল নাম এডসন আরান্তেস ডো নাসিমেন্টো। ১৫ বছর বয়সে পেলে স্যান্টোসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।১৬ বছর বয়সেই তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে স্থান পান এবং ১৯৫৪ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন।

ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে প্রথম ম্যাচেই একটি গোল করে নিজের অস্তিত্বের বিষয়ে ফুটবলপ্রেমীদের জানান দেন। পেলে পুরুষদের বিশ্বকাপে গোল করা এবং একই খেলায় তিনটি গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় যা তিনি টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন।

টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে পেলের আরও দুটি গোল ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিতে সাহায্য করে।১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে তিনি ব্রাজিলের পক্ষে আরও দুটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবলার হিসেবে তাঁর কর্মজীবনে তিনি ৯২টি ম্যাচে ৭৭ টি গোল দেন এবং আর্জেন্টিনার দিয়েগো ম্যারাডেনার মেতো তাঁকেও ফিফার বিংশ শতকের খেলোয়াড় হিসেবে সম্মানিত করা হয়।