স্পোর্টস ডেস্ক:
নতুন ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর হয়ে অভিষেক আগেই হয়েছিলো লিওনেল মেসির। তবু অপেক্ষা ছিলো পিএসজির ঘরের মাঠে প্রথমবার খেলার। রোববার রাতে হয়ে গেলো সেটিও। দর্শনীয় এক গোলে ঘরের মাঠের অভিষেকটি রাঙিয়ে রাখতে পারতেন লিওলেন মেসি। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালো বার পোস্ট।
মেসি ও গোলের মাঝে বার পোস্ট এলেও, পিএসজির জয় থামাতে পারেনি। নেইমার জুনিয়র ও মাউরো ইকার্দির গোলে অলিম্পিক লিওনের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়ে প্যারিসিয়ানরা। ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গিয়ে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ইকার্দি।
ম্যাচটিতে গোল পাওয়া ছাড়া সবই করেছেন মেসি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে লিওনেল রক্ষণভাগকে রীতিমতো নাচিয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। কিন্তু কখনও ডিফেন্ডার জেসন ডেনায়ার, আবার কখনও অ্যান্থনি লোপেজ দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন মেসির প্রচেষ্টা। যার ফলে গোলবঞ্চিতই থাকতে হয় মেসিকে।ম্যাচের ৩২ মিনিটের সময় নেইমারের ব্যাক হিল থেকে দারুণ জায়গায় বল পেয়ে যান মেসি। জায়গা করে দূরের পোস্টে শট নেন তিনি।
আগেই ঝাঁপ দেয়া লোপেজ শেষ মুহূর্তে পায়ের আলতো টোকায় কর্নান কিকের বিনিময়ে বাঁচিয়ে দেন সেই শট। এর আগে ম্যাচের শুরুর দিকে মেসির শট ব্লক করেন ডেনায়ার।কিন্তু ৩৭তম মিনিটে লোপেজ বা ডেনায়ারের কিছুই করার ছিলো না। ডি-বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন নেইমার, ফ্রি কিক পায় পিএসজি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া ফ্রি কিকে মানব দেয়ালকে পরাস্ত করার পাশাপাশি লোপেজকেও হার মানান মেসি। কিন্তু সেই শট প্রতিহত হয় ক্রসবার ও পোস্টের সংযোগস্থলে। ফলে হাতছাড়া হয় সুবর্ণ সুযোগ।
স্পট কিক থেকে ম্যাচে সমতা ফেরাতে কোনো ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
দলকে এগিয়ে দেয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। ম্যাচের ৭৪ মিনিটের সময় নেইমারের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান করে এগিয়ে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। পরের মিনিটেই তাকে উঠিয়ে নেন পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। এ সিদ্ধান্ত মনঃপুত ছিলো না মেসির, যা বোঝা যাচ্ছিলো তার অভিব্যক্তিতে।মেসিকে তুলে নেয়ার খানিক পর আরেক আর্জেন্টাইন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার জায়গায় তারই স্বদেশি ইকার্দিকে নামান পচেত্তিনো। ম্যাচের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে সেই ইকার্দিই করেন জয়সূচক গোল। কাইলিয়ান এমবাপের দারুণ ক্রসে নিখুঁত হেডে পিএসজিকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ইকার্দি।