নগর প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচার ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে উচ্ছেদ এবং মন্দির এলাকায় আনসার মোতায়নের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইসকন।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রবর্তক সংঘের শ্রীকৃষ্ণ মন্দির পাহাড়টি যখন বেদখল হয়ে যাচ্ছিল। তখন ২০০৩ সালে প্রবর্তক সংঘের অনুরোধেই মন্দিরের দায়িত্ব নেয় ইসকন।
এ সময় পূর্নাঙ্গ মন্দির প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য মৌখিক ও লিখিত অনুরোধ জানান। লিখিত বক্তব্য পড়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পের শুরু থেকে প্রবর্তক সংঘ প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করলেও মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রবর্তক সংঘের মুষ্ঠিমেয় সদস্য প্রতিহিংসা পরায়ণ ও ঈর্ষান্বিত হয়ে মন্দিরের সুনাম ক্ষুন্ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রবর্তক সংঘের কুচক্রী মহলটি ইসকনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নিমিত্তে আইনী নোটিশ প্রদান করলে ইসকনও আইনীভাবে তার জবাব দিয়েছে। সুতরাং ইসকন ও প্রবর্তক সংঘ ইস্যুতে বর্তমানে আইনী প্রক্রিয়া চলমান, যাহা প্রবর্তক সংঘের আইনী নোটিশের বিষয় বস্তু থেকে সুস্পষ্ট হয়। এ অবস্থায় ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধপূর্ণ জায়গায় বিরোধী পক্ষের আবেদনক্রমে আনসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত বেআইনী ও অযৌক্তিক।
আনসার সদস্যদের সামনে রেখে প্রশাসনকে ইসকনের প্রতিপক্ষ বানিয়ে শ্রীকৃষ্ণ মন্দির প্রবর্তক সংঘের নিয়ন্ত্রণে আনার যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে তা কোনভাবেই কাম্য নয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে ইসকনের সাধুদের হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে।
তিনি বলেন, সাধু সন্ন্যাসীদের ধর্মীয় কাজে ব্যস্ত থাকার কথা সে সময়ে সাধুদেরকে আদালতে, থানায়, সরকারী বিভিন্ন দফতরে দফতরে ঘুরতে হচ্ছে। একের পর এক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে প্রবর্তক সংঘের বেআইনী কর্মকাণ্ডের গতি রোধ করা আবশ্যক।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসকন নোয়াখালীর অধ্যক্ষ রসপ্রিয় গৌর দাস অধিকারী, ইসকন প্রবর্তকের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, কক্সবাজার ইসকনের অধ্যক্ষ রাধা গৌবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, ফেনি ইসকনের অধ্যক্ষ নিতাই গৌরাঙ্গ দাস অধিকারী, কুমিলা ইসকনের অধ্যক্ষ সুদর্শন জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন বান্দরবানের অধ্যক্ষ উজ্জ্বলবর্ণ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন নন্দনকানন রাধা মাধম মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারননিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন মোহরা মন্দিরের অধ্যক্ষ সর্বমঙ্গল দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন রাঙামাটির অধ্যক্ষ নিতাই নুপুর দাস ব্রহ্মচারী সহ প্রমুখ।