নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ে যেখানে শতভাগ বেচা-কেনা হতো তা এখন ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।
আদা ও রসুন কেনা দামের চেয়ে কমে বিক্রি করে দিচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও বেচাকেনা না থাকায় নতুন করে পণ্য আমদানি করতে পারছেন না আদা-রসুনের বেপারিরা।
চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে টানা ১৯ দিন কঠোর লকডাউনে ক্রেতা সংকটে বিপাকে পড়েছিলেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। লকডাউন শেষে ক্রেতা ও বিক্রি বাড়বে এমনটা আশায় ছিল ব্যবসায়ীরা। তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও সে আশায় গুঁড়েবালি।
সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিয়ের অনুষ্ঠানেও মেহমানদের আয়োজন কম, খুচরা ব্যবসায়ীদের আর্থিক সংকটসহ নানাবিধ কারণে ক্রেতা না থাকায় আবারো খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে পচতে শুরু করেছে আদা ও রসুন। ক্রেতা সংকটে বাধ্য হয়ে লোকসানে আদা ও রসুন বিক্রি করছেন বেপারিরা।
খাতুনগঞ্জ হামিদউল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘গত লকডাউনে ক্রেতা সংকটে পড়ে আড়তেই আদা-রসুন পচে গিয়েছিল। কোটি কোটি টাকা লোকসান গুণতে হয়েছিল আমাদের। ভেবেছিলাম স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বেচাবিক্রি বাড়বে, আগের লোকসানটাও পুষিয়ে আসবে। কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও আমরা ক্রেতা পাচ্ছি না। আগে থেকে লোকসান গুণতে গুণতে এমনিতেই আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। তার উপর এখন আবারও ক্রেতা সংকট তৈরি হয়েছে। আড়তে পেঁয়াজ-রসুন কিছুটা ঠিক থাকলেও আদা পচে যাচ্ছে। সে কারণে আমরা নতুন করে আমদানিও করতে পারছি না।’
আড়তদাররা জানান, ক্রেতা না থাকায় ১২০ টাকায় কেনা চায়না আদা মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায় ও ৭০ টাকায় কেনা আদা মানভেদে ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছেন পাইকাররা। অপরদিকে ১০০ টাকায় কেনা চায়না রসুন ৯০ টাকায় ও ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কেনা দেশি রসুন মানভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।