চট্টগ্রামের মানুষ না চাইলেও বঙ্গবন্ধু ট্যানেল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-ভূমিমন্ত্রী

রুমেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম:

“চট্টগ্রামের মানুষ না চাইতেই বঙ্গবন্ধু ট্যানেল চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন এবং উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে নিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, আনোয়ারায় অর্থনৈতিক জোন, লালখান বাজার থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে নান্দনিকতায় রূপ পেয়েছে নদী-পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত এই চট্টগ্রাম বলে উল্লেখ করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।”

রোববার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত বাণিজ্য মেলার অংশগ্রহণকারীদের সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী একথা বলেন।

গত এক দশকে চট্টগ্রামের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন – চট্টগ্রামে স্থায়ী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও একটি আন্তর্জাতিক মানের বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টার করার জন্য কাট্টলী ও সৈকত এলাকায় ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এসময় তিনি চট্টগ্রামে ভুটান, থাইল্যান্ড, ভারত, নেপালের পর্যটক আকর্ষণ করতে চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে একটি ‘ট্যুরিজম মেলা’ আয়োজনের পরামর্শও দেন।

সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে সাইফুজ্জামান বলেন, “অনেকেই মনে করেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। কিন্তু বাংলাদেশ তা হয়নি। বাংলাদেশের অবস্থান শ্রীলঙ্কা থেকে অনেক শক্তিশালী।

“করোনা মহামারি, ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ডলার সংকটের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপর্যয় হলেও আমাদের খাদ্য উৎপাদন ঠিক থাকায় সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।”

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ক্লাব ভাইস-চেয়ারম্যান এ কে এম আক্তার হোসেন, কো-চেয়ারম্যান মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বক্তব্য রাখেন।

পরে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরীতে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রথম, আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস দ্বিতীয় এবং কে ওয়াই টু টোন তৃতীয় স্থান এবং স্টলগুলোর মধ্যে বিদ্যানন্দন প্রকাশনী, ড্রেস লাইন বাংলাদেশ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে হ্যাপি ডে ও প্রাণ ডেইরি কতৃপক্ষের হাতে পুরুষ্কার ও সনদ তুলে দেন ।