নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিংয়ে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে পলাশ (১৮) নামে এক কিশোর ও হাজারি গলি এলাকায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে প্রান্তিকা দাস (৩০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিস্ত্রীপাড়া এলাকার অর্কিড হাউসে পলাশ (১৮) নামে ওই কিশোর এবং বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় হাজারি গলির কালীপদ বাবু বাড়ির চার তলার বাসায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ।
পরে আহত অবস্থায় তাদের দুই জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পলাশ ওই এলাকার মোহাম্মদ ওসমানের ছেলে ও মৃত প্রান্তিকা ওই এলাকার অনিক দাশের স্ত্রী। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে, এখনো পর্যন্ত গৃহবধুর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
নিহত পলাশের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির তদারককারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, পলাশ পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ বর্তমানে চমেকের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে, পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান গৃহবধূ প্রান্তিকার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘বুধবার বিকেলের দিকে নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রান্তিকা নামের এক গৃহবধূ। বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’