নগর প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে লালখান বাজার এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ধারালো অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৫ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র্যাব-৭)।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছদ্মবেশে র্যাব সদস্যরা তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো.লোকমান, হৃদয়, আরিফ, মীর হোসেন ও শুক্কুর। এসময় ঘটনার মূলহোতা শামসুল আলম শওকতসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন বলেন, লালখান বাজারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ছদ্দবেশে র্যাব ৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়,, লালখান বাজার ৩০ হাই লেভেল রোডে গত ৮ মাস আগে ফিরোজা নামের পুরাতন তিনতলা ভবন ভেঙ্গে এপার্টমেন্ট নির্মাণের জন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় চুক্তি করে ভবন মালিক। তবে গত ১৮ অক্টোবর ভবনটি ভাঙ্গার প্রস্তুতি নেয়ার পর থেকে কিশোর গ্যাং লিডার শামসুল আলম শওকত নামে একজন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ দাবি করে আসছিলো। চাঁদার টাকা পেতে দেরি হওয়ায় ২১ অক্টোবর সকালে সুমন, আরিফ খান প্রকাশ লোকমানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি চক্র ভবন ভাঙ্গানোর কাজ বন্ধ রাখতে দারোয়ানকে হুঁশিয়ারি দেয় । স্থানীয় যুব সংঘ ক্লাবের সদস্য বলে পরিচয় দেয় তারা এবং নেতা শামসুল আলম শওকত ভাইয়ের সাথে চাঁদার বিষয়টি ফয়সালা করতে একদিনের আল্টিমেটাম দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ঠিকাদার মো.হাসান বিষয়টি র্যাবকে জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১টা থেকে ছদ্মবেশে লালখান বাজারে পুরাতন ভবনটিতে অবস্থান নেয় র্যাব সদস্যারা। দুপুর ১২টার দিকে পর কিশোর গ্যাংয়ের ৭ থেকে ৮ জন ওই স্থানে এসে টাকা দিতে বিলম্বের জন্য ঠিকাদারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধির কাছ থেকে নগদ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ নেয় তারা । কিন্তু নগদ টাকা নেয়ার সাথে সাথে র্যাব সদস্যরা ৫ জনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে৷ তবে মূলহোতা শওকতসহ বাকীরা পালিয়ে যায়।