জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আবারো বাবুল ও মিথুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২১নং জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আবারো এসেছে সভাপতি বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মিথুন।

শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে ২১নং জামাল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন পর গোপন ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে গোপন ব্যালেটে আবুল হাসেম বাবুলকে সভাপতি ও মিথুন বড়ুয়াকে সাধারণ সম্পাদক পুনরায় নির্বাচিত করেন কাউন্সিলররা। আগের কমিটিতেও বাবুল সভাপতি ও মিথুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

এর আগে শনিবার সকালে ২১নং জামাল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘আমরা যে স্বপ্ন দেখতে সাহস করি না, নেত্রী সেই সব বড় বড় স্বপ্ন নিজেও দেখেন এবং বাস্তবায়ন করে দেখান। এজন্যই বাংলাদেশ আজ একটি গরীব দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নত দেশের মর্যাদা প্রাপ্তি হতে চলেছে। এটা অনেকের সহ্য হয় না। একজন সুদের কাঙালি যিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করেছেন কিন্তু সফল হননি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল মাত্র ২২ বছর। বাকি ৩২ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কি দিয়েছে সেটা খুঁজতে গেলে কিছুই পাবার নেই। পাবার মধ্যে আছে দুনীর্তিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের বাড়িতে গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা ঝুলানো, হত্যা ও ক্যূর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল, ক্যান্টনম্যান্টে রাজনৈতিক দল বানিয়ে দেশে ধারাবাহিক লুটপাট, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের পুর্নবাসন, জঙ্গিবাদের উত্থানসহ নানারকম অপকর্মের দীর্ঘ তালিকা ছাড়া আর কিছুই তো নেই। তারা যদি অহংকার করে তারা জাতিকে কিছু দিয়েছেন তা মিথ্যা। ভোগ ও দখলদারিত্ব ছাড়া জাতিকে কিছুই দিতে পারেন নি।’

আ জ ম নাছির আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থেকেছে তখন দেশের উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আমরা কল্পনাও করতে পরিনি প্রমত্ত পদ্মার উপর সেতু হবে, মেট্রোরেল হবে, এমনকি কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গ হবে। আজ দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি হবার পথে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে হু হু করে বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। এতবড় অর্জন বিশ্বে আর কোথাও আছে কী?

’সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, বাবু চন্দন ধর, হাজী মো. সাহাব উদ্দীন, ক ইউনিটের সভাপতি মৃদুল দাশ, খ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমেদ ইমু, গ ইউনিটের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোস্তফা।

সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, জোবাইরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, মো. আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, বখতেয়ার উদ্দীন খান, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।