নগর প্রতিবেদক :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
এক সপ্তাহের মধ্যে নগরের ভিআইপি সড়কের ভাঙা অংশ সংস্কারের আল্টিমেটাম ও হুঁশিয়ারি দেন এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘দেওয়ানহাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি চট্টগ্রামের প্রধান সড়ক। এ সড়কটি নগরের ভিআইপি সড়ক হিসেবেও পরিচিত। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এবং লাখো মানুষের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে গিয়ে রাস্তাটি সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুই পাশে পানি জমে রাস্তাটি পুরোপুরি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সাথে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, দুটি ইপিজেড, কলকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো, ব্যাংক, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র দুটি ইপিজেডে কাজ করেন কয়েকলাখ শ্রমিক। শিক্ষার্থীরা এখন প্রতিদিন স্কুল কলেজে যাচ্ছে। তাছাড়া এখানে রয়েছে একটি কোভিড টিকাদান কেন্দ্র।’ কীভাবে মানুষ চলাফেরা করবে বা রাস্তা পার হবে সে প্রশ্ন রাখেন সুজন। তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টি শুরু হলে কাদাপানির ভোগান্তি আর বৃষ্টি কমলে শুরু হয় ধুলিঝড়। দেখে মনে হবে যেন একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দা এরা।
অব্যাহত ধুলিকনায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ। মানুষের ফুসফুসে ক্যান্সার বাসা বাঁধছে। এরকম একটি অমানবিক পরিস্থিতিতে বসবাস করছে এলাকার জনসাধারণ। যাদের কোনো স্বাভাবিক জীবনধারা নেই বললেই চলে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লাখো পথচারি এবং যানবাহনের যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি যেন শেষ হওয়ার নয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় এ পর্যন্ত তিনজন রোগী রাস্তায় মৃত্যুবরণ করেছেন। কবে এ দুর্ভোগ থেকে তারা মুক্তি পাবে তা কেউ জানে না।’
সুজন স্পষ্ট করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে বা যারা গাফিলতি করবে তাদেরকে জনগন কোনোদিনও ক্ষমা করবে না।
সমাবেশস্থল থেকে তিনি সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস’র সাথে ফোনে কথা বলেন এবং প্রতিদিন ৩বার ওই সড়কে পানি ছিটানোর আহবান জানান।
প্রধান প্রকৌশলী সুজনের প্রস্তাবে সম্মত হন এবং এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
সেই সাথে আগামী শুক্রবারের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করে গাড়ী চলাচলের উপযোগী করে তুলতে ব্যর্থ হলে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন সুজন।
রাতআপ বন্দর শাখার সভাপতি তানভীর ইসলামের সভাপতিত্বে এবং রাতআপ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন নয়নের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মহিলা কাউন্সিলর শাহনুর বেগম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ সহ বিভিন্ন জন।