নগর প্রতিবেদক :
এ চক্রের হাতে তেমনই প্রতারণার শিকার মো. আবুল কাশেম (৬৯) নামের জৈনক ব্যক্তি। শুধু তিনি নন এ চক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরও অনেকেই। শুভ্র প্রকাশ সাহার (২৭) কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা, সুমা রানী বনিকের (২৬) কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা, গৌরব চন্দ্র সূত্রধরের (২৫) কাছ থেকে ৭ লাখসহ মোট ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সেকান্দর আলীর চক্র।
শুধু তাই নয়, চক্রটি সঙ্গবদ্ধভাবে বন্দর থেকে বিভিন্ন মালামাল নিলাম ও বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন লোকজনদের কাছে বন্দরের ওই নিলাম/বিক্রি যোগ্য পণ্য নিয়ে দেওয়ার কথা বলেও লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করতেন তারা। এতো কিছুর পরেও শেষ রক্ষা হয়নি প্রতারকের। ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) পেশাদার প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য সেকান্দর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘মামলার বাদী রিয়াজউদ্দিন বাজারস্থ মুরগীহাটা লেইনে একটি চায়ের দোকানি। পেশাদার প্রতারক এ চক্রের ফাঁদে পরেন তিনি। পরে মামলা দায়ের করলে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটি সঙ্গবদ্ধভাবে বন্দর থেকে বিভিন্ন মালামাল নিলাম ও বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন লোকজনদের কাছে বন্দরের ওই নিলাম/বিক্রি যোগ্য পণ্য নিয়ে দেওয়ার কথা বলেও লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করতো।’
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, নিজেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব পরিচয় দিতেন সেকান্দর আলী। বন্দরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। ইন্টারনেট থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র সংগ্রহ করে পাঠাতেন প্রার্থীদের বাসায়। ভুয়া পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজ ডাকযোগে পাঠাতেন থানায়। ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ প্রার্থীদের বাড়িতে গেলে চাকরি হয়ে গেছে বলে টাকা আদায় করে প্রার্থীদের সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন প্রতারকরা। পেশাদার প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য সেকান্দর আলীকে সহোযোগিতা করতো মো. নুর মোহাম্মদসহ আরও আজ্ঞাত একজন। এ চক্রের হাতে তেমনই প্রতারণার শিকার মো. আবুল কাশেম (৬৯)। ছেলেকে বন্দরে চাকরির কথা বলে ফাঁদে ফেলা হয় তাকে। চাকরির জন্য চাওয়া হয় ১৫ লাখ টাকা। এই ফাঁদে পা ফেলেন কাশেম, প্রতারকদের দিয়ে দেন টাকাও। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় চলে যাওয়ার পরেও চাকরিতে যোগদানের জন্য কিছু না বলায় প্রতারকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের হদিস পাননি তিনি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন তিনি।