নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসভবন ঘেরাও করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তার চট্টগ্রামের গুডস হিলের বাসভবন ঘেরাও করা হয়।
এ সময় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর ও জেলা কমিটি।
এসময় কর্মসূচি পালনকারীরা গুডস হিলের প্রবেশপথে দেয়ালে লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন কেন্দ্র রাজাকারের বাড়ি’।মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অন্য চার দাবি হলো— একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্টের কোষাগারে জমা করা, মুক্তিযুদ্ধে যে সমস্ত স্পটে সাধারণ মানুষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন করা হয়েছে সেগুলোকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঘোষণা করা, প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজাকারের তালিকা করে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ শব্দগুলো আমাদের অস্তিত্ব। সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাকাকে তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ‘শহীদ’ বলায় আমরা মনে করি এটা লাল সবুজের পতাকার অবমাননা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে নির্যাতন করা হতো সাকা চৌধুরীর গুডস হিলের বাড়িতে। পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনীকে সঙ্গে করে নিয়ে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো এই যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী। মূলত পাকিস্তানি হানাদারদের পথপ্রদর্শক এবং বাঙালি যুবক, বুদ্ধিজীবী ও সংখ্যালঘুদের গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিল চট্টগ্রামের এই কুখ্যাত সাকা চৌধুরী।
বিক্ষোভ থেকে দাবি করা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ শব্দগুলো আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত।
গত শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এক মিছিল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে চট্টগ্রামে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সংগঠনটি।