রক্তদান ও রক্তদান কর্মসূচির জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬৩ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রক্তদান করে এবং রক্তদান কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬৩ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠন কণিকা।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে রক্তদানে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা ও ইফতারের আয়োজন করে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সিকান্দর খান ও প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সাইন্স অ্যান্ড ফিশারিজের ডিন ড. মো. শফিকুল ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সিকান্দর খান বলেন, ‘যারা রক্ত দেয় তারা বিশাল হৃদয়ের মানুষ। রক্ত হিন্দুর নাকি মুসলমানের নাকি বৌদ্ধের একজন রোগীর কাছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার কাছে রক্তটাই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা তার প্রাণ বাঁচায়। এটা মহা পুণ্যের কাজ। আমরা হতাশ হয়ে বলি আমাদের ছেলে মেয়ারা উচ্ছন্নে গেছে। এখন বলা হয় কিশোর গ্যাং, এই কিশোর গ্যাংকে চাইলেই রক্তদাতা গ্যাং করা যায়। কণিকার মাধ্যমে ৫ হাজার ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে, এটা সোজা কথা নাকি? ৫ হাজার মানুষকে যুক্ত করে যারা এই কাজ করেছে তারাও এর ফজিলত পাবেন। দেশে কিশোর গ্যাং থাকবে না, তাদের সমাজসেবামূলক কাজে জড়াতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ ভালো, বাংলাদেশের মানুষ পরস্পরের কথা চিন্তা করেন। বাংলাদেশের মানুষ নিজের যা আছে তা দিয়ে অন্যজনকে সহযোগিতা করে।’
কণিকার সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ জানান, রক্ত নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬৩ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা জানানো হয়।
এরমধ্যে ৪০ জনকে সুপার ডোনার সম্মাননা, ৫ জনকে নতুন রক্তদাতা সম্মাননা, ৩ জনকে দুঃসাহসিক রক্তদাতা সম্মাননা, ৩ জনকে বর্ষ সেরা রক্তদাতা সম্মাননা, ২ জনকে কণিকা সেরা সংগঠক সম্মাননা, ১ জনকে উদীয়মান সংগঠক সম্মাননা এবং ৩ টি সংগঠনকে রক্তদানে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও রক্তদান বিষয়ক সংবাদের জন্য দুইজন সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সহ-সভাপতি নাঈমুল হাসান ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুসরাত জাহান তানির সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, কণিকার সাদারণ সম্পাদক তারেক সাব্বির ।
২০১২ সাল থেকে সামাজিক সংগঠন কণিকা’র যাত্রা শুরু হয়। চট্টগ্রামে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। অনেকে সময়মতো রক্ত না পাওয়ায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে; আর অনেকে ছুটে বেড়ায় দ্বারে দ্বারে। এই সমসাময়িক বিষয় ১০ বছর ধরে কাজ করছে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু হওয়া সামাজিক সংগঠন কণিকা।