সরেজমিনে দেখেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ: সমঝোতার প্রস্তাব দেন স্বয়ং ওসি

পুরুষ শূন্য ঘরের মালামাল লুট, নারীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ খলিলুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের !

নিজস্ব প্রতিবেদক :

পুরুষ শূন্য ঘরে ঢুকে স্বর্ণলংকার, নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করেছে এক পরিবারের কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয়ের এমবিএ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার ঊর্মী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়েশা আক্তার ঊর্মী বলেন, গতকাল সোমবার (৮মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদরঘাট দারোগারহাট রোডে আপন আঙ্গিনা বিল্ডিং’র ৭ম তলায় খলিলুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে। এসময় তারা আমাদের ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র লুট করার মানসে বের করে নিচে নিয়ে যায়। আমার ছোট বোন সাদিয়া সুলতানা ও আমি উর্মি তাদের বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন এবং শ্লীলতাহানী করে এবং আমাদের কাছে আমার বাবা আবু কায়সার দুবাই থেকে আনা দুইটি আই ফোন ও একটি স্যামসাং ফোন আবু তারেক রনি কেড়ে নেয়। পরোক্ষণে, অন্য একটি মোবাইল দিয়ে বাথরুম ঢুকে ৯৯৯ এ ফোন করলেও ঘটনাস্থলে প্রায় ১ঘন্টা পর পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশ আসার আগেই আমার বিয়ের জন্য ঘরে গচ্চিত থাকা ২০ লক্ষ টাকা ও প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার তারা লুট করে নিয়ে যায়। অনেক গুলো আসবাব পত্রও নিয়ে যায়। সবচেয়ে অবাক লাগার বিষয় এটা যে মাত্র দুই’শত গজের মধ্যে থানা থাকা সত্ত্বেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এখানে আসতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে।

উর্মি আরো বলেন, কিছু আসবাব পত্র নিচে পড়ে থাকে, পুলিশ উপস্থিত হয়ে সেই আসবাবপত্র গুলো আমাদের ঘরে উঠিয়ে দেয় এবং ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার কিংবা আটক না করে বরং তাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে দেয়, সেই চলে যেতে সহযোগিতা করে। পুলিশের এহেন অবস্থা দেখে আমরা আরও সঙ্কিত হয়ে পড়ি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আগামী ২৬ মে আমার বিয়ের দিনতারিখ ধার্য্য হয়। এমন সময়ে আমাদের অর্থ লোট, স্বর্ণালংকার লুটের ফলে আমাদের মানইজ্জত সবই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় আমার শশুরবাড়ীর লোকজন জানলে আমার বিবাহও ভেঙ্গে যেতে পারে। আমারও আত্মহত্যা ছাড়া আর বিকল্প থাকবে না।

আয়েশা আক্তার ঊর্মী ও তাদের পরিবারের এবং নিজের নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে এতবড় জঘন্য সন্ত্রাসী ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও থানা আমাদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি। উল্টা আমাদেরকে তাদের সাথে সমঝোতা করার প্রস্তাব দেন স্বয়ং ওসি।

ওটা কেন জানতে চাইলে তিনি আমাদের দক্ষিণের উপ কমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে পাঠান, তিনিও সমঝোতার কথা বলেন আমাকে এবং আমার বাবা আবু কায়সারকে। এখন উপায় না দেখে মাননীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছি। আইনের উর্ধ্বে কেউ নেই, তদন্ত করে তিনি অপরাধীদের বিচার করবেন আশা করি।