সিআরবির একটি কণাও ছাড়বে না সংস্কৃতি কর্মীরা : নাগরিক সমাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গান, কবিতা, কথামালা অভিনয় আর নৃত্যের ছন্দে সংস্কৃতি কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে এ শ্লোগান জানিয়েছেন।

গানে গানে বলেছেন,

‘আমরা হারবো না, হারবো না, তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না’- না কিছুতেই না, কোন কিছুর বিনিময়ে সিআরবির একটি কণাও ইউনাইটেড গোষ্ঠীর বানিজ্যিক হাসপাতালের জন্য দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে একাট্টা চট্টগ্রামবাসী।

কোন ধরনের সমঝোতা মেনে নেবে না তারা এমনটাই দাবি তাদের।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের সংস্কৃতি কর্মীরা গান কবিতা কথামালা অভিনয় আর নৃত্যের ছন্দে তার জানান দিয়েছে।

কেননা চট্টগ্রামের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র এ সিআরবি। সেই সিআরবি-ই যদি দখল হয়ে যায়, তবে সংস্কৃতি চর্চার বড়ো স্থানটি হারিয়ে যাবে, যা কিছুতেই সংস্কৃতি কর্মীরা মেনে নিতে পারে না। তারা বলেছেন, দু:সময়ের আঁধার ভেঙে সুসময় যখন ডাক দিচ্ছে, ঠিক তখন ষড়যন্ত্রকারীরা ভিন্ন সুরে কথা বলছে; নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আজ এই সমাবেশ থেকে আমরা তাই বলতে চাই, ‘অ ভাই, আয়রে আয়, সিআরবিত বর্গি আইস্যি লড়াই গইড়ত্যাম যাই, বেয়াগ্গুন মিলি লড়াই গইজ্জুম জান বাচাইবার লাই।’


নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম আয়োজিত প্রতিবাদী কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করতে আজ হাজির হয়েছিলেন কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র যুবকসহ সকল স্তরের মানুষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বাংলাদেশ আবৃত্তি শিল্পী সংসদের উপদেষ্টা আবদুল হালিম দোভাষ, শিল্পী দীপেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম চারু শিল্পী সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজন মজুমদার, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি শিক্ষক নেতা অঞ্চল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মঞ্চ সঙ্গীত মিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কামরুল আজম চৌধুরী টিপু, বেতার টেলিভিশন শিল্পী সংস্থার সাবেক সভাপতি কায়সারুল আলম, চট্টগ্রাম ৯৪ ব্যাচের পক্ষে আবু নাইম, সম্মিলিত কর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, নাট্যজন অধ্যাপক ম সাইফুল আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, কবি কামরুল হাসান বাদল।


কবিতা পাঠক করেন, অধ্যাপক হোসাইন কবির, বিভা ইন্দু, গোফরান উদ্দিন টিটু, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, সুপ্রতিম বড়–য়া, আফম মোদাচ্ছের আলী, লাল্টু বড়–য়া, লিপি তালুকদার, আকতার হোসাইন, রতœা বণিক, তারিফা হায়দার, গৌড়ী প্রভা দাশ, বিপুল বড়–ুয়া, উৎপল কান্তি বড়–য়া, বাসুদেব খাস্তগীর, মোস্তফা ইমরান সোহেল, মিম্বর হুরে জান্নাত, মিনু মিত্র, রাসু বড়–য়া, অঅবু তালেব বেলাল, শিপ্রা দাশ, ইউসুফ মুহম্মদ, লিটন কুমার চৌধুরী প্রমুখ।
আবৃত্তি পরিবেশন করেন, বাচিক শিল্পী রাশেদ হাসান, কঙ্কন দাশ ও দিলরুবা খানম।


সঙ্গীত পরিবেশন করেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গীত মিল্পী সুজিত রায়, কল্পনা লালা, আলাউদ্দিন তাহের, সিমলী দাশ, শামসুল হায়দার তুষার প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি কালচারাল একাডেমি। নাট্যাংশ পাঠ করেন মঈন উদ্দিন কোহেল ও তাঁর সন্তান ইলমা আয়লিন।
সংহতি প্রকাশ করেন কবি অনুপমা অপরাজিতা, রিমঝিম আহমেদ, আলী প্রয়াস, লাকি দাশ, শাহিন মাহমুদ, রাজিউর রহমান, সুচরিত দাশ খোকন, মো. আলী টিটু, সাবেক ছাত্র নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, নূরুল আজিম রনি, ছাত্র নেতা মাহমুদুল করিম,রাহুল দত্ত ,মাইমুন উদ্দিন মামুন, আনোয়ার পলাশ, মইনুল ইসলাম, কবি আলাউদ্দিন খোকন, জাহিদ হাসান সাইমন প্রমুখ।