প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং সৈকতের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পুনর্বাসন ও মূল ফটক খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমবায় সমিতি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক পুনর্বাসন কমিটি।
শনিবার (২৮ মে) সকালে মূল বেঁড়িবাধে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনের নেতারা।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক পুনর্বাসন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পতেঙ্গা বিচ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মুসা আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাকিল হারুন, মানবাধিকার কর্মী আবদুল আজিজ, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আহমেদ, শেখ আহমেদ সাগর, জামাল উদ্দিন, আবদুল হালিম, তাজুল ইসলাম, আবদুর রহমান, আবদুল মজিদ, মোরশেদ আলম, মো. হোসেন, আবদুল মজিদ, ইলিয়াছ প্রমুখ।
মানবন্ধনে বক্তারা সিডিএর সিদ্ধান্তেক গণবিরোধী বলে উল্লেখ করে বলেন, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। না হলে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের করার কথা বলে সিডিএ সৈকতের ৬ কিলোমিটার এবং সাগরপাড়ের ৩৫ একর দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিডিএর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সমুদ্র সৈকতের মালিক সিডিএ নয়। আমাদের এভাবে নিঃস্ব করার অধিকার সিডিএর আছে বলে আমরা মনে করি না। ভিটেমাটি, জীবন দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছি আমরা, সী-বিচকে জমজমাট করেছি আমরা। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই- অনতিবিলম্বে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমাদের পুনর্বাসন করা হোক এবং সী-বিচ বেসরকারি ঠিকাদারদের কাছে ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।’
মুক্তভাবে সমুদ্রসৈকত উপভোগের অধিকার সবার রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আল্লাহর দান। দেশের সব নাগরিক মুক্তভাবে এটা উপভোগ করার অধিকার রাখেন। সমুদ্র সৈকতকে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়ভার বহন করা সিডিএ বা সরকারের জন্য কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু সমুদ্র সৈকত আজকের মনোরম বিনোদন কেন্দ্রের পর্যায়ে আনার কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সর্বস্ব হারিয়ে আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
বক্তারা আরো বলেন, এখন আবার ব্যয়ভারের অযুহাত দেখিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না পতেঙ্গার সাগর পাড়ের বাসিন্দাদের। আর নিঃস্ব করবেন না আমাদের।