নগর প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৭৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিষ্টিকুমড়া প্রতীকের নূর মোস্তফা টিনু।
কিন্তু বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, বিজয়ী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী টিনু সহ ২১ প্রার্থীর কেউ-ই এক অষ্টমাংশ ভোট পাননি।
ফলে সবার জামানাত বাজেয়াপ্ত হবে।সিটি নির্বাচনের ৪৪ (৩) বিধি অনুযায়ী, ‘ভোটগ্রহণ বা ভোটগণনা সমাপ্ত হওয়ার পর যদি দেখা যায় যে, কোনো প্রার্থী সংশ্নিষ্ট নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন, তাহলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১ জন। পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন।নিবার্চন কমিশন সূত্র থেকে জানা যায়, ৩১ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত ভোটার থাকলে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ৩০ হাজার টাকা জামানত দেবেন এবং সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ও ৩০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারবেন।
তাই চকবাজার ওয়ার্ডের এই উপ নির্বাচনে টিনু সহ ২১ প্রার্থীর ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জামানাত বাজেয়াপ্ত হবে।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, বিজয়ী নূর মোস্তফা টিনুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকের মো. আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৭৭৩ ভোট। মো. আলী আকবর হোসেন চৌধুরী (কাঁটা চামচ) পেয়েছেন ৭৩৫ ভোট, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন (রেডিও) পেয়েছেন ৬১৭ ভোট, মো. শাহেদুল আজম শাকিল (ক্যাপ) পেয়েছেন ৫৯০ ভোট, মো. সেলিম রহমান (ঠেলাগাড়ি) পেয়েছেন ৫২৮ ভোট, ৭ বারের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর স্ত্রী মেহেরুন্নিছা খানম (ড্রেসিং টেবিল) পেয়েছেন ৫২৭ ভোট।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচিত কর্মকর্তা কামরুল আলম জানান, এই উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১ জন। কাস্ট হয়েছে ৬ হাজার ৯৩২ ভোট। আইন অনুযায়ী জামানত ফেরত পেতে হলে প্রার্থীদের কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হবে। নির্বাচনে পড়া মোট ভোটের নির্ধারিত সংখ্যক ভোট কেউ পাননি। তাই সকল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।