চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২১ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে র‌্যালি ও সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর জেনারেল হাসপাতালের পাশে সিভিল সার্জনের সামনে র‌্যালি ও সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘জলাতঙ্ক ঃ ভয় নয়, সচেতনতায় জয়’।

জেলা সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, এমওসিএস ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ.এম জাহিদ, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়া, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ, জুনিয়রর স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মাসুদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ প্রবীর মিত্র, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিটু পাল, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মোঃ নূর হোসেন, পরিসংখ্যানবিদ উশ্রী দাশ গীতা, পিএ টু সিভিল সার্জন মফিজুল আলম, প্রধান সহকারী (প্রেষণে) সাহিদুল আলম, প্রধান সহকারী মোঃ আবু তৈয়ব, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তাপস রায় চৌধুরী, স্টোর ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম, এন্টো টেকনিশিয়ান মোঃ মাঈনুদ্দিন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শক্তি বড়–য়া, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আক্তার বানুসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ঘাতক ব্যাধি জলাতঙ্কের প্রধান বাহক কুকুর। এছাড়া বিড়াল, বেজি ও শিয়ালের আঁচর-কামড় থেকেও এ রোগ হতে পারে। জলাতঙ্ক একদিকে শতভাগ বিপজ্জনক, অপরদিকে শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। আক্রান্তের পরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক যথাসময়ে এন্টিরেবিস টিকা প্রদান করে প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করা যেতে পারে। জলাতঙ্ক এখন পূর্বের মতো ভয়ের বিষয় নয়, বরং মানুষ সচেতন হলেই এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।


তিনি আরও বলেন, কুকুর বা সন্দেহভাজন জলাতঙ্ক গ্রস্থ প্রাণি দ্বারা আক্রান্তের পর রোগীর দেহে সৃষ্ট ক্ষতস্থান খুব দ্রæত ক্ষারযুক্ত সাবান ও প্রবাহমান পানি দ্বারা ১৫ মিনিট ধৌত করা হলে সেখানে নিপতিত রেবিস ভাইরাস অপসারিত বা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করেই প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এ ভয়ংকর ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।

আলোচনা সভার পূর্বে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে কার্যালয় চত্ত¡রে একটি র‌্যালি বের করা হয়