সিআরবি’র বক্ষব্যাধী হাসপাতালকে বিভা: কর্মচারী হাস: রূপান্তর করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ হাসপাতালে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে প্রশাসন।

শনিবার (৬ মে) হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

এ সময় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জাফর উদ্দিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসন জানায়, চট্টগ্রাম একটি বিভাগীয় শহর। এখানে সরকারি প্রায় সকল দপ্তরের কার্যালয় অবস্থিত। বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবার নিয়ে এ শহরে বসবাস করেন। তবে তাদের চিকিৎসায় নেই কোনো বিশেষ হাসপাতাল।

এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইতোমধ্যে দেশের সকল বিভাগে বিভাগীয় কর্মচারী হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামেও বিভাগীয় কর্মচারী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। তবে সেই প্রস্তাব অনুমোদন ও বাস্তবায়ন দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে রেলওয়ে হাসপাতালকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে বিভাগীয় কর্মচারী হাসপাতাল করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। অচলপ্রায় হাসপাতালটি বিভাগীয় কর্মচারী হাসপাতালে রূপান্তর হলে এর কার্যকারিতা ও উপযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।নতুন করে জমি অধিগ্রহণ বা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা না হওয়ায় দ্রুত অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

এতে করে সরকারের বিপুল অর্থ সাশ্রয় ও দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে সিআরবি এলাকার প্রায় ১৩ দশমিক ৭৮ একর জমিতে হাসপাতালটি অবস্থিত। এতে তিনটি বিভাগে সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে হাসপাতালে থাকা রোগীদের চিকিৎসার বেডগুলো অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন। এতে কোনো রোগী দেখা যায়নি। বেশিরভাগ কক্ষগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালের অপারেশন বিভাগে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিগুলোর বেশিরভাগই অচল ও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে মাত্র একজন ডাক্তার ও তিনজন নার্স আছেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ হাসপাতালে রূপান্তর হওয়ার পর এটি জেলা প্রশাসন ও পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। সংগ্রহ করা হবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি।

চট্টগ্রাম বিভাগের বর্তমান অবসরপ্রাপ্ত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার এবং মৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালটিতে সেবা পাবেন।