উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০% নিজস্ব অর্থায়নে করাতে সক্ষমতা অর্জন করেছি: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করতে সক্ষমতা অর্জন করেছি। এটা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমরা চাই। স্বাধীনতা সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াই আমার লক্ষ্য ছিল। আমি এটা নিশ্চিত করতে পেরেছি।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে টানা তিন বারের সরকার প্রধান বলেন, অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট আমরা করে যাচ্ছি। আমাদের যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প করতে গেলে আগে অনেকের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ, অনেক দিক নির্দেশনা, অনেক কিছুই শুনতে হতো।

এ সময় সারাদেশের ৮ টি সম্মেলনের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১০টি জেলা বাদে সারাদেশের সবকটি জেলার সম্মেলন শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সহায়তায় করোনা মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। বর্তমান বৈশ্বিক মন্দাও মোকাবিলা করব। তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব আজ এক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনাভাইরাস মহামারির কবলে পড়ে বিশ্ব। ২০২০ এবং ২০২১ এই দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। অনেক দেশের অর্থনীতিতে ধস নামে।

আমাদের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতি করে টাকা বানাতে আসিনি। আমার বাবা রাষ্ট্রপতি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমি চার চারবারের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের পরিবার দুর্নীতিই যদি করতো, তাহলে দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারতাম না। আমরা দেশের মানুষকে দিতে এসেছি, মানুষের জন্য করতে এসেছি। একারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, অন্তত আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে হিসেবে এটা মেনে নিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবো। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি, ধন্যবাদ জানাই দেশের মানুষকে। তারাই আমাকে সাহস দিয়েছেন, শক্তি দিয়েছেন; আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।

আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছি। আজকে তিনটা আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর করেছি, চতুর্থটা হচ্ছে কক্সবাজারে।’