নগর প্রতিবেদক :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ (৪-১০ অক্টোবর) এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রামের উদ্যোগে জাতীয় শিশু কন্যা দিবসের আলোচনা সভা, কন্যা শিশুদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আবছার ভূঁঞার সভাপতিত্বে ও একাডেমির আবৃত্তি প্রশিক্ষক এডভোকেট মিলি চৌধুরী এবং প্রশিক্ষণার্থী স্বাগতা বড়–য়া নদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু কন্যা দিবসের আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়–য়া, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু ও সাবেক জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা। আলোচনা সভা শেষে কন্যা শিশুরা আবৃত্তি, নৃত্য ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কন্যা শিশুদের প্রতি কোন ধরণের বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয়। তাদের সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসবে হবে। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ছেলে-মেয়ের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও বাস্তব জীবনে ছেলেদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়। মেয়েদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে আমরা কেউ দ্বিধাবোধ করিনা। সকল শিশুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পরিবারের, সমাজের ও রাষ্ট্রের। বিভিন্ন কারণে কন্যা শিশুরা ধর্ষণ, নির্যাতন ও ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। পারিবারিক অসচেতনতার কারণে অনেক শিশু শিক্ষার আলো ও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে বাল্য বিবাহের কারণে অনেক কন্যা শিশু অকালে ঝরে পড়ছে। ডিভোর্সের শিকার হচ্ছে অসংখ্য নারী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে এসব কিছু বিবেচনায় এনে প্রযুক্তিগতভাবে শিশুদের কল্যাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বহুমুখী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, মেয়েদের অধিকার মেয়েদেরকেই আদায় করে নিতে হবে। অধিকার আদায় করতে গিয়ে উশৃঙ্খলতা নয়, সমন্বয়ের মাধ্যমে করতে হবে। কন্যা শিশু কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না, কারো কুপ্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছে কি না কিংবা কেউ কোন ধরনের লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে কন্যা শিশুকে অনৈতিক কাজে নিচ্ছে কি না তা পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যদেরকে সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কন্যা শিশুদের সুরক্ষাসহ তারা যাতে প্রাপ্য অধিকার থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি বাল্য বিবাহ রোধ ও নানামুখী নির্যাতন থেকে কন্যা শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের কোথাও কন্যা শিশুদের প্রতি কোন ধরণের বৈষম্যমূলক আচরণ করা অনুচিত। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ছেলে-মেয়ের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও বাস্তব জীবনে ছেলেদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়। মেয়েদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে আমরা কেউ দ্বিধাবোধ করিনা। জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছেলে-মেয়েদের সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বাস্তবমুখী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে তা একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছেন। আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোন বৈষম্য রাখলে সরকারের একার পক্ষে দেশকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে নেয়া বা আলোকিত করে তোলা সম্ভব নয়। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
বক্তারা আরো বলেন, শিশুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পরিবারের, সমাজের, রাষ্ট্রের ও সকলের। বিভিন্ন কারণে কন্যা শিশুরা ধর্ষণ, নির্যাতন ও ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। পারিবারিক অসচেতনতার কারণে অনেক শিশু শিক্ষার আলো ও তাদের অন্যান্য ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে বাল্য বিবাহের কারণে অনেক কন্যা শিশু অকালে ঝরে পড়ছে। ডিভোর্সের শিকার হচ্ছে অসংখ্য নারী।