নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যার আগে উপকূল অতিক্রম করেছে। সেখানে তান্ডব চালিয়েছে মোখা। ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি সহ ধ্বংসাত্মক তান্ডবের চিহ্ন রেখে গেছে মইয়আরষনমআরএর রাখাইন রাজ্যে। এর পর কিছু শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। মোখা এখন মায়ানমারের স্থল গভীরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে তান্ডব চালিয়েছে মোখা। ঘরবাড়ি, গাছপালা আর ফসলে জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এসব অঞ্চলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ও চট্টগ্রামের ৮ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার দুটি সমুদ্রবন্দরেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৪ মে) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। একইসঙ্গে একটি দুর্বল হয়ে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিটুয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মোখা স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।এদিকে কক্সবাজারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরেও সতর্ক সংকেত নামানো হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।