চট্টলা ডেস্ক :
চলে গেলেন জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক শেখ আবদুল হাকিম।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যু সংবাদটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেেছেন তার মেয়ে সাজিয়া হাকিম।
১৯৪৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে শেখ আবদুল হাকিমের জন্ম। ব্রিটিশ ভারত ভাগ হলে চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন তিনি। ১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝিতে সেবার আরেক সিরিজ ‘কুয়াশা’র দশম কিস্তি দিয়ে প্রকাশনীটির সঙ্গে যুক্ত হন শেখ আবদুল হাকিম। অবশ্য এর আগেই লিখে ফেলেন নিজের প্রথম উপন্যাস ‘অপরিণত প্রেম’। সেবার সঙ্গে প্রায় চার দশক যুক্ত ছিলেন শেখ আবদুল হাকিম।
লেখকের মেয়ে সাজিয়া হাকিম বলেন, ‘শনিবার দুপুরে বাবা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও খবর দেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে রওনা হওয়ার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাবা।’সাজিয়া জানান, তার বাবার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রংকাইটিসে ভুগছিলেন।
জানাজা ও দাফন নিয়ে পরিবারের এই সদস্য জানান, বাবার মৃত্য সংবাদ শুনে আত্মীয় স্বজনরা রাজধানীর বাসাবো পূর্ব নন্দীপাড়ার বাসায় আসতে শুরু করেছেন।
মাগরিবের নামাজের পর জানাজা এবং পরে বাসাবো পূর্ব নন্দীপাড়া কবরস্থানে দাফন হবে।শেখ আবদুল হাকিম সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় গোয়েন্দা কাহিনী ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৭১টির এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক।
‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজ ছাড়াও রোমান্টিক, অ্যাডভেঞ্চার-সহ নানান স্বাদের বই উপহার দিয়েছেন এই লেখক।
‘মাসুদ রানা’ সিরিজের বইয়ের স্বত্ব দাবি করে আইনি লড়াইয়ের কারণে গত বছর আলোচনায় আসেন শেখ আবদুল হাকিম।