ডেস্ক নিউজ :
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা-৬ অধিশাখার (অর্থ মন্ত্রণালয়) এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রকার এক্সপোজার ভিজিট/স্টাডি ট্যুর/এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং ওয়ার্কশপ/সেমিনানে অংশগ্রহণসহ সব প্রকাশ বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।এক দিন আগেই (বুধবার দুপুরে) ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ যেতে পারবেন না।
এ সময় মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল, সরকারের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তাদের অহেতুক বিদেশ সফর বেড়ে গেছে কি না? জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন এখন থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ সফর করা যাবে না। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে তারা যাবেন, অন্যথায় কেউ যাবেন না। এটা কমানো হবে।
এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ ও কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানিনির্ভর প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সময়ে সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্তে নিতে হয়। আমরা এত দিন যেভাবে চলছিলাম, সারা বিশ্বের যে অবস্থা তাতে লাগাম টেনে ধরতে হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রকার এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব প্রকার বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।