নিজস্ব প্রতিবেদক :
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৮ সেপ্টেম্বর।
গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি।
এদিকে আল্লামা শফীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি-ই নেওয়া হয়নি হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে।
তবে আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেবের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে তিন হাজার কোরআন খতম সম্পন্ন করেছে।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. এর মাগফিরাত কামনায় সারা দেশব্যাপী কয়েক লাখ খতম সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ছিল কোরআনুল কারীম, বুখারী, খতমে ইউনুস, দরুদ শরিফ ও সুরা ইয়াসিন খতম সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেবের সাহেবজাদা ।
মাওলানা আনাস মাদানী আরো জানান, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মাগফিরাত কামনায় তার খোলাফা, শাগরেদ, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনরা সাড়ে তিন হাজার কোরআন খতম, বিশটি বোখারী খতম, চার হাজার খতমে ইউনুস দুই লাখ বিশ হাজার দরুদ শরিফ খতম ও পাঁচশ’ সুরা ইয়াসিন খতম সম্পন্ন করেছেন।
প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর অনুসারীরা।
এ বিষয়ে হেফাজত ইসলামের নেতা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, আলেম-ওলামারা জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন না। তাই আহমদ শফীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি নেই।
তার মৃত্যুর আগের দিন আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন শফী। তার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক অভিযোগ করে মামলাও করা হয়। সেই মামলার তদন্তে ৪৩ জনের দায় পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত বছর আহমদ শফীর মৃত্যুর পর এক বছরে বিভিন্ন ঘটনায় হেফাজতে নানা পরিবর্তন এসেছে। সংঘাতে জড়িয়ে অনেকটা চাপে আছে কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক এই হেফাজতে ইসলাম সংগঠন।
উল্লেখ্য, আল্লামা শাহ আহমদ শফী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ার টিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম ও ভার তের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় পড়াশোনা করেন।হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে শুরু হয় তার কর্মজীবন।
১৯৮৬ সালে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে সুনামের সাথে তিনি ওই পদে ছিলেন।
আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে এমএ (আরবি-ইসলামিক স্টাডিজ)-এর সমমান ঘোষণা করেন।