বিনোদন ডেস্ক :
২০১৭ সালে আইয়ুব বাচ্চু নিজের কিছু গানের কপিরাইট নিবন্ধন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর প্রয়াত হন এই ব্যান্ড কিংবদন্তি।এর দুই বছর পর ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় কপিরাইট অফিস।
আর সেই গান থেকে গত এক বছরে আয় হয়েছে ৫ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকা।
এবার সেই সম্মানী পরিবারের হাতে তুলে দিলো বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।এছাড়াও দুটি মোবাইল অপারেটর ও স্বাধীন মিউজিক অ্যাপস নামের সংগীত বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম রয়্যালটি হিসেবে ৫ লাখ টাকা প্রদান করে।
আইয়ুব বাচ্চুর এই ২৭২টি গান তাদের প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করবে। মাসিক হারে রয়্যালটি পাবে এবি পরিবার।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রয়্যালটি হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবিহা পারভীন।
আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনার হাতে রয়্যালটির ৫ ও ৪ লাখ টাকার চেক দুটি তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সন্তানের পিতামাতা হারানোর ব্যথা আমরা বুঝি। পিতার শূন্যস্থান পূরণের নয়। আইয়ুব বাচ্চু কপিরাইটস নিয়ে কাজ করেছিলেন। আমরা তার সন্তানের হাতে অন্তত উনার প্রাপ্য তুলে দিতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আরও অনেক শিল্পীর জন্য কাজ করবে সরকার।’
অনুষ্ঠানে কপিরাইট অফিসকে ধন্যবাদ জানান প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা। তিনি বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু চলে যাবার প্রথম দুই বছর আমরা কী করবো বুঝে উঠতে পারিনি। তার গান কীভাবে ভক্তের কাছে পৌঁছাবে, সংরক্ষণ হবে বা সন্তানরা কীভাবে প্রাপ্য পাবে ভেবে পেতাম না। প্রধানমন্ত্রীসহ কপিরাইট অফিসকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য।’
গায়ক ও কপিরাইট বিশেষজ্ঞ জুয়েল মোর্শেদ গত এক বছরে আইয়ুব বাচ্চুর ডিজিটাল রেভিনিউ প্রজেকশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। জানান, গত এক বছরে ৫ হাজার ডলার এলেও আগামী বছর এটা ২০ হাজার ডলার (১৬ লাখ টাকা) ছাড়িয়ে যাবে। যা চক্রবৃদ্ধি হারের মতো বাড়তেই থাকবে।