চট্টলা ডেস্ক :
পরিচালক ও নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
“গ্রেপ্তার নায়িকা পরীমণির ‘মম’ নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী”
৬ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যালে চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িটি ঘিরে ধরে পুলিশ। পরে তাকে সেখান থেকে আটক করা হয়।
চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। সে সিনেমার নায়িকা পরীমণি। এই নির্মাতার ওয়েব ফিল্ম ‘অন্তরালে’র জন্য সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হন পরীমনি। এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।
চয়নিকা চৌধুরী ও পরীমনির মধ্যে যে সখ্য রয়েছে, তা সবারই জানা। চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ‘মম’ বলে সম্বোধন করে থাকেন পরীমনি। উত্তরা বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমনির পাশে ছায়ার মতো দেখা গেছে তাকে।
বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমণির পাশে দেখা যায় চয়নিকা চৌধুরীকে। কিন্তু গত ৪ আগস্ট পরীমণি আটক হওয়ার পর তাকে আর পাশে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে অবশ্য চয়নিকা গণমাধ্যমে বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে তার যোগাযোগ ও আড্ডা নিতান্ত পেশাগত কারণে।
পরীমনিকে আটকের পর বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) চয়নিকা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অন্যদের মতো টেলিভিশন লাইভে আমিও ঘটনাটি দেখেছি। তবে পরীমনির বাসায় যাইনি। কারণ এটা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপার। তারা যা ভালো বুঝবেন, সেটাই করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের সম্মান আছে। ঘটনাটি মাত্রই ঘটল। এখন কিছু বলা ঠিক নয়। আমরা অপেক্ষা করবো কিছুদিন। অবস্থা বুঝে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও টিমের সঙ্গে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
মডেল পিয়াসা, মৌ এবং পরীমণিসহ বেশ কয়েকজনকে ব্যবসায়ীদের ডিজে পার্টি এবং মাদকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিনেত্রী ও অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করিয়ে দেওয়া, বিচ্ছেদে সহযোগিতা, মাদক সরবরাহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে নানা মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাকে নেওয়া হয় র্যাবের সদর দফতরে। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে।
পরদিন ৫ আগস্ট মাদক মামলা করে র্যাব। একই দিন তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।