বিনোদন ডেস্ক:
ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা সাকলাইন এর সাথে ভাইরাল ভিডিও নিয়ে এবার মুখ খুললেন এবার চিত্র নায়িকা পরীমনি।
মাদক মামলায় গত মাসে গ্রেফতার হন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমনি।
২৬ দিন জেলে থাকার পর আপাতত জামিনে মুক্ত তিনি। কিন্তু জেলে থাকাকালীন অভিনেত্রীর বেশ কিছু ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও ফাঁস হয় (এই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি কেউ কোথা থেকে আসে এই ভিডিওটি।
এই বিষয় এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী পরিমনি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পরীমনি জানিয়েছেন, তাঁর ফোনে থাকা ভিডিয়োগুলিই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
অভিনেত্রীর গ্রেফতারের পরই পুলিশকর্তা মো. গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে গোলাম সাকলায়েনের জন্মদিন পালন হচ্ছে। একটা নীল রঙের কেক কাটছেন পুলিশ আধিকারিক। আর তাঁর পাশেই বসে আছেন পরীমনি। দু’জনে হাত ধরে কেক কাটলেন এবং সাকলায়েনকে কেক খাইয়ে দিলেন পরী। তারপরে চুমু খেলেন তদন্তকারী অফিসারের ঠোঁটে। শুধু তাই নয়, এরপর একটা বড় কেকের টুকরো নিজের মুখে নিয়ে খাইয়ে দিতে দেখা গেল সাকলায়েনকে।
এই সব ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই বিব্রত অভিনেত্রী।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নায়িকা বলেন, ‘আমার ফোন, গাড়ি সব তদন্তকারীরা নিয়ে নিয়েছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলি সব ওই ফোনেই ছিল। আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই।’ তাঁর দাবি, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশ খতিয়ে দেখেছে।
পরীমনি দাবি করেন, কীভাবে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে। রীতিমত নাটক করে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়েছে সব কিছুই তিনি জানাবেন।
নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি কী এমন করেছি? আমি শুরু থেকেই স্ট্রং ছিলাম। আমি যদি দোষী হতাম, তাহলে তো আমি ভেঙে পড়তাম। আমার সঙ্গে কী হয়েছে সব বলব। আমাকে একটু সময় দিন। আমি একমাস ধরে মানসিক অশান্তির মধ্যে ছিলাম।’
অভিনেত্রীর কথায়, তিনি প্রায় ‘পাগল’ হয়ে গিয়েছিলেন সেই সময়। রাতের পর রাত ঘুম হয়নি তাঁর। পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ করেন, অনেকেই নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ছবি তুলেছে এবং ইউটিউবে ‘রসালো হেডিং’ দিয়ে নানা ‘কনটেন্ট’ বানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ঠা অগস্ট মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিল চিত্র নায়িকা পরীমনি। ২৬ দিন পর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান নায়িকা। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর আদালতের দায়রা বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।