নগর প্রতিবেদক :
আবুল খায়ের স্টিল মিলের কর্মচারী আবুল হাসেম নিরবের (১৯) খুনের ঘটনায় অভিযানে নেমে পুলিশ ওই খুনের সঙ্গে জড়িত ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি মেক্সিমা অটো টেম্পু, ২টি ফোল্ডিং সিস্টেম চাকু, লুট করা ৩শ’ কেজি কাঁচা লোহা বা পিগ আয়রন, ২টি ত্রিপল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো— মো. রকি (২২), মো. রাসেল আখন (২৭), মো. আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল ওরফে লাইল্লা (২০), মো. রানা ওরফে পারভেজ (১৯), মো. ইব্রাহিম প্রকাশ শান্ত (২০), মো. আব্দুর রায়হান ওরফে রায়হান (১৯), মোহাম্মদ আলী ওরফে রমজান ওরফে রানা (২০), মো. আব্দুল জলিল (৬২), মো. মজিবুর রহমান ওরফে রিপন (৩০) ও মো. সাজ্জাদ (৩০)।
পুলিশ জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর আবুল খায়ের স্টিল মিলের একটি ট্রাক মালামাল নিয়ে সীতাকুণ্ডে যাওয়ার পথে আকবারশাহ এলাকায় কিছু ডাকাত অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মালামাল লুট করে। পরে সীতাকুণ্ড শীতলপুর আবুল খায়ের স্টিল মিলে পৌঁছে গাড়ি আনলোড করার সময় দেখতে পায় মালামালের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর লাশ। এ ঘটনার পরের দিন ৭ সেপ্টেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযানে নামে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডাকাত দলের সদস্যদের শনাক্তের পর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি মেক্সিমা অটো টেম্পু, ২টি ফোল্ডিং সিস্টেম চাকু, লুন্ঠিত ৩শ’ কেজি কাঁচা লোহা বা পিগ আয়রন, ২টি ত্রিপল উদ্ধার করা হয়।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, ‘এরা পেশাদার চোর ও ডাকাত দলের একটি চক্র। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন লোহা ও লোহা তৈরির কাঁচামাল বোঝাইকৃত গাড়ির মালামাল লুট করে। চোরাই ও লুট করা মালামাল পেশাগতভাবে চোরাই মালামাল কিনে এমন কতিপয় চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রি করে তারা।
সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িত ডাকাত দলের সদস্যদের শনাক্ত ও লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযানে নেমে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’ গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা মালামাল লুট করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।