নগর প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে পূজামণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে হরতালের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ।
অপরদিকে এ ঘটনায় প্রতিমা বিসর্জন না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।
শুক্রবার(১৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের জেএমসেন হল পূজা মণ্ডপের বাইরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলায় মণ্ডপের ভেতরে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও মণ্ডপের বাইরে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়েছে। মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে এ পূজার আয়োজন করে ।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর ১১টা থেকে বিসর্জনের কাজ শুরু হয়। এবার সরকারি নির্দেশনা ছিল নামাজের জন্য বেলা আড়াইটার পর থেকে পূজা মণ্ডপ থেকে বিসর্জনের জন্য বের হওয়ার। সেজন্য আমরা মণ্ডপে অপেক্ষা করে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করছিলাম। ঠিক এ সময় আমাদের এখানে হামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায় , জেএমসেন হলে তোরণে হামলার ঘটনার পর পূজা কমিটির নেতা-কর্মীরা সড়কে এসে অবস্থান নিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ৩টার দিকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত জেএমসেন হলে মোড়ে এসে পূজা উদযাপন পরিষদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
জেএমসেন হল মোড়ে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, কেউ এ কর্মসূচি প্রতিহত করতে চাইলে বুকের রক্তের বিনিময়ে হলেও প্রতিরোধ করা হবে।এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা আশ্বস্ত করার পর সন্ধ্যায় পতেঙ্গা, নেভাল-২ সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক হামলার ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে বলেন, তারা পরিস্থিতি ‘পর্যবেক্ষণ’ করছেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনও বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেএমসেন হলে এসে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক হামলার ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে বলেন, তারা পরিস্থিতি ‘পর্যবেক্ষণ’ করছেন।