রাঙামাটিতে বেঁধে রেখে গৃহবধূ ধর্ষন: অভিযুক্ত পলাতক

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়নে স্বামী পরিত্যক্ত এক মহিলাকে জঙ্গলে বেঁধে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) সকালে ধর্ষিতাকে তার আত্মীয়-স্বজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে বেলা ১২ টার পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ৯ টায় কাপ্তাই উপজেলাধীন চিৎমরম ইউনিয়নের ৪ নং চংড়াছড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক একই গ্রামের হ্লাখই মারমার ছেলে ছুমং উ মারমা (৪০)। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ধর্ষক ছুমং পালাতক রয়েছে।

ওই গৃহবধূ চিকিৎসক এবং সংবাদকর্মীদের জানান, তাকে গত সোমবার রাতে এলাকার ছুমং উ মারমা তার বসতবাড়ীর পাশের জঙ্গলে হাত-পা ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। বাঁধা দিলে লম্পট ছুমং তাকে মারধর করে। এসময় তার শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতে চিহ্ন দেখা যায়।

এদিকে কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ওমর ফারুক রনি জানান, ওই মহিলা তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পারি। তবে যেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ বিষয়ে পরীক্ষা করার জন্য যন্ত্রপাতি না থাকায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করেছি আমরা।

৩নং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ঘটনার খবর জানার পর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে ছুটে যায়।

এবিষয়ে ডাক্তারী পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, তাই ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ওসি জানান, এ ব্যাপারে এখনো থানায় কেউ মামলা দায়ের বা অভিযোগ করেনি। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক একই গ্রামের হ্লাখই মারমার ছেলে ছুমং উ মারমা পলাতক রয়েছে।