অপহরণ করে আড়াই বছরের শিশু বিক্রি, গ্রেফতার চার: পলাতক মূল হোতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থেকে আড়াই বছর বয়সী শিশু চুরির ঘটনায় এক নারীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে দুই লাখ ২০ হাজার টাকায় নিঃসন্তান রিমা আক্তার নামে গ্রেফতার ওই নারীর কাছে বিক্রি করেছিল বাকি তিন জন। গ্রেপ্তাররা ওই নারী সহ বাকীরা হলেন- মো.নুর ইসলাম প্রকাশ মুরাদ (২৪), মো.জুয়েল (১৯), মো.রাসেল (৩৭) ও রিমা আক্তার (৩০)।

তবে শিশুটিকে চুরির মূল হোতা মো. হাশেম পলাতক আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা এলাকা থেকে খেলাধুলা করার সময় আড়াই বছর বয়সী শিশুটি নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা পারুল বেগম সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন থানায়। ভিডিও ফুটেজ দেখে অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশা শনাক্ত করার পর অপহরণের ঘটনা উদঘাটন করে পুলিশ।

পুলিশ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় এক যুবক শিশুটিকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এর সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করে হাটহাজারীর ছিপাতলীতে রিমা আক্তারের বাসায় অপহরণের শিকার শিশুটির সন্ধান পায়। পরে আসামি রিমার দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।

এবিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে জেনেছি তারা শিশু অপহরণ দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সহযোগিতায় ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের অপহরণ করে আসছিল। শিশু চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের মা পারুল বেগম।

পুলিশ সাংবাদিকদের আরও জানায়, হাশেম সহ চার জন মিলে চিপস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। নিঃসন্তান রিমা আক্তারের সঙ্গে আগে থেকেই তাদের দুই লাখ ২০ হাজার টাকায় একটি শিশু পাইয়ে দেওয়ার মৌখিক চুক্তি হয়ে ছিল। চুরি করা শিশুটিকে তাকে হস্তান্তরের পর রিমা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করেন। সেই টাকায় মুরাদ একটি মোটরসাইকেল কেনেন। গ্রেপ্তার মুরাদের হেফাজত থেকে শিশু চুরির টাকায় কেনা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।